শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রটি বারাসাত মহকুমার মধ্যে পড়লেও বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বর্তমানে এখানে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার। ২৭০টি বুথ। গ্রাম পঞ্চায়েত ১১টি। একটি বাদে বাকি সব পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারের সংখ্যা ৫১ শতাংশের বেশি। তৃণমূলের গড় বলেই পরিচিত। এখানে বিজেপির অর্জুন সিং যাতে কোনওভাবে ভোট বাড়াতে না পারেন, তার জন্য তৃণমূলের সব শাখা সংগঠনকে নিয়ে ঘর গুছিয়ে প্রচারে নেমেছেন পার্থ।
রবিবার বিকেলে তারাবেড়িয়া অঞ্চল থেকে জনসংযোগে শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে সুসজ্জিত প্রচার মিছিল এগিয়ে চলে। কামদেবপুরহাট, সোনাডাঙা, খণ্ডশর্করা গ্রাম, আরখালি, রংমহল হয়ে রাহানা পর্যন্ত হুডখোলা জিপে প্রচার সারেন তিনি। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে মহিলারা ফুল ছুড়ে তাঁকে স্বাগত জানান। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখে পার্থ বলেন, ‘এসবই মমতাদি’র জন্য। তাঁর হাত শক্ত করতেই এত মহিলা রাস্তায় নেমেছেন। এঁরাই আমাদের শক্তি।’ গ্রামের পথে পথে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে প্রচার। শংকরপুর মোড়ে এক দল লোক অপেক্ষা করছিলেন তৃণমূল প্রার্থীর জন্য। তৃণমূল প্রার্থীকে দেখতে পেয়ে তাঁরা একসুরে বললেন, ‘আপনার জয়ের জন্য আমরা মসজিদে দোয়া করছি। আপনি চিন্তা করবেন না।’ পার্থ প্রত্তুত্তরে বলেন বলেন, ‘আপনাদের আশীর্বাদই আমাদের শক্তি। অশুভ শক্তির পরাজয় হবে। গুণ্ডারাজ বিনাশ হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সর্বত্র।’
বারাকপুর কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী জামিল হোসেনের সমর্থনে পোস্টার- ব্যানার এই এলাকায় প্রায়শই চোখে পড়ছে। পার্থ ভৌমিকের অভিযোগ, ওইসব ব্যানার-ফ্লেক্স লাগিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। বিজেপি অবশ্য তা মানতে নারাজ। বসে নেই বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংও। তিনি দত্তপুকুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা ও সভা করেন এদিন। আমডাঙায় তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বাসাতে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছেন না তিনি। তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল যা ভাবছে, তা হবে না। ওদের আগের ভোট আমাদের দিকেই আসবে।’