বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উত্তরের একাধিক নামকরা পুজো কমিটিও কমবেশি এক পথে হাঁটছে। কাশী বোস লেনের সোমেন দত্তর কথায়, ‘পাড়ায় প্রায় সকলেই দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত। তাই প্রতিটি বাড়ি থেকে একজন করে প্রতিনিধি অঞ্জলির সময় মণ্ডপের ভিতর থাকবেন। দূরত্ব বজায় রেখে দুটো বড় বড় এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে। বাকিরা সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রেখে অঞ্জলি দেবেন... দফায় দফায়। ফুল মায়ের পায়ে পড়বে না। পুষ্পাঞ্জলির পর একটি পাত্রে মায়ের সামনে রেখে দেওয়া হবে।’ অন্যদিকে বাগবাজার ফুল ছাড়াই অঞ্জলির ব্যবস্থা করছে। উদ্যোক্তা সন্দীপ মুখোপাধ্যায় জানালেন, ‘বিশাল প্রতিমা, বড় মাঠ। ফলে আদালতের নিয়ম মেনে মণ্ডপের দূরে দাঁড়িয়ে অঞ্জলি দিতে অসুবিধা হবে না। ফুল ছাড়াই হাতজোড় করে মায়ের কাছে প্রার্থনা করবেন সকলে’।
বিধি বাঁচাতে মণ্ডপের বাইরে এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা অনেক পুজো কমিটিই করছিল। আদালতের রায়ের পর সেই সংখ্যাটা লক্ষ করার মতো বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে বেড়েছে ভাড়াও। এক পুজো উদ্যোক্তা বলছিলেন, ‘আগে একটা ছোট এলইডি স্ক্রিন ১৫-২০ হাজারে হয়ে যেত। এখন সেটাই ৪৫-৫০ হাজার হাঁকছে।’ হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো উদ্যোক্তা শাশ্বত বসু বলেন, ‘আদালতে পাল্টা একটা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দর্শক ঢোকানোর ব্যবস্থা করা গেল না। তাই, মণ্ডপের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শনের জন্য এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা হচ্ছে।’
কিন্তু সিঁদুর খেলা? সেখানে তো দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়! দশমীর দিন কী হবে তাহলে? বাগবাজার যেমন ঠিক করেছে, পুজো কমিটির কয়েকজন মহিলাকে দিয়েই মায়ের বরণ হবে। একই পথে হাঁটছে নাকতলা উদয়ন সংঘ, মুদিয়ালি কিংবা কাশী বোস লেন, টালা পার্ক প্রত্যয় ম্যাডক্স স্কোয়ারের মতো প্রায় সকলেই। মণ্ডপ প্রাঙ্গণে বন্ধ সিঁদুর খেলা... মায়ের মন মানবে তো?
কাশী বোস লেনে বসেছে জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিন। -নিজস্ব চিত্র