বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
খড়দহ পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান কাজল সিনহার কথায়, ওই জমিটি বেসরকারি মালিকানাধীন। পুরসভা চেষ্টা করেছিল স্মৃতিসৌধ তৈরির। কিন্তু হয়নি। করোনা পরিস্থিতি কাটলে তিনি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে বিষয়টি জানাবেন। এলাকার কো-অর্ডিনেটর তাপস দাশগুপ্ত বললেন, মানুষের আবেগের সঙ্গে এই জায়গা জড়িয়ে রয়েছে। জমির মালিকের উচিত সেই আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে এই জমিটি পুরসভা বা রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া।
আজ, ২২ শ্রাবণ, শুক্রবার বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস। সেকথা মাথায় রেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা বক্তব্য, প্রতিবারই আমরা আশায় থাকি, হয়ত এবার কিছু একটা সিদ্ধান্ত হবে। বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানটি সাজিয়ে তোলা হবে। বেসরকারি মালিকানাধীন হলেও প্রশাসন উদ্যোগী হলে অনেক আগেই এই জায়গাকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলা যেত।
ফেরিঘাট সংলগ্ন ওই অংশটিতে গিয়ে দেখা গেল, চারপাশে উম-পুনের ক্ষতের দাগ। উদ্যানের মুখেই রয়েছে বিশাল প্রবেশদ্বার। কিন্তু উম-পুনে বড় গাছ পড়ে যাওয়ায় সেই প্রবেশদ্বারে ফাটল ধরেছে। উদ্যানের ভিতরের অংশ অপরিষ্কার না হলেও, গাছগুলি দেখলেই বোঝা যায়, যত্নের অভাব রয়েছে। এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, এখন যেখানে জেটি, সেই অংশটি নিয়েই ওই গার্ডেন হাউস ছিল। আমার বাবা-ঠাকুরদার মুখে শুনেছি, এই গার্ডেন হাউসে কবি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতেন। আবার নৌকোয় চড়েই কলকাতায় ফিরে যেতেন। এখানে একটি বিশাল বাড়ি ছিল। সেসব এখন জলের তলায়। বাকি অংশটিকে রেলিং দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই উদ্যানের নাম কবির নামেই হোক। সেটাও আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। খড়দহে রবিঠাকুরের স্মৃতিধন্য সেই বাড়ির ফটক। (ইনসেটে) রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তাতেই চিড় ধরেছে। -নিজস্ব চিত্র