বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এই ঘটনায় সোমবার সকাল থেকে এলাকায় চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় প্রশাসনের উদাসীনতা বা গাফিলতির দিকে আঙুল উঠছে। তেমনি স্থানীয়ভাবে ভ্যান, অটো বা টোটোর ব্যবস্থাও করা যায়নি মৃত্যুপথযাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। জনে জনে অনুরোধ করা হলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে আরেকটি অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রইল হাওড়া। যদিও হাওড়া জেলা প্রশাসনের তরফে এদিন জানানো হয়, রবিবার রাত থেকে সোমবার সকালে ওই যুবকের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাজ্য সরকার, হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং হাওড়া পুরসভার কোনও হেল্পলাইন নম্বরে অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে ফোন আসেনি। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ দেহ তুলে আনার জন্য হাওড়া পুরসভার কাছে খবর আসে। সেখান থেকে তখনই পিপিই পরা কর্মীরা গিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে সওয়া ১২টার মধ্যে যুবকের দেহ সৎকার করেন।
মৃতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় গত ২২ জুলাই হাওড়ার সত্যবালা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সন্তোষকে। কয়েকদিন আগে তাঁর বাবার করোনা ধরা পড়েছিল। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। ২৪ জুলাই সন্তোষের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। কোনও উপসর্গ না থাকায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর থেকে টালির চালের একচিলতে ঘরে কোনওরকমে ছিলেন পেশায় কয়লার ভ্যানচালক সন্তোষ।
রবিবার রাত ১০টার সময় থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ও জ্বর আসে। সারারাত ডাকাডাকিতে ভোরের দিকে কিছু প্রতিবেশী বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। তাঁদের অভিযোগ, কেউ ফোন ধরেনি। সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ সন্তোষের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, মৃত্যুর পরও দেহ অনেক্ষণ পড়ে থাকে ঘরের মধ্যে। লিলুয়া থানার পুলিস এসে পুরসভায় ফোন করে দেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এমন ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয় বিরোধী দল সিপিএম এবং বিজেপি। লিলুয়ার রবীন্দ্র সরণী তেলকল মোড় সিপিএম কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করে রাখে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার এক পদস্থ স্বাস্থ্যকর্তা জানান, ঠিক কী কারণে তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।