বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ঝড়ের প্রভাবে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া সহ একাধিক জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে গাছ, বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভ, টেলিফোন বা কেবলের খুঁটি। বিকল ল্যান্ড ও মোবাইল ফোন। তার প্রভাব পড়েছে পুলিসের দৈনন্দিন কাজকর্মেও। মোবাইল আসার পর পুলিসের নিজস্ব ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের গুরুত্ব অনেকটা কমেছে। রাজ্য পুলিসের প্রতিটি থানাতেই দুটি করে ল্যান্ড ফোন আছে। এর সঙ্গে রয়েছে মোবাইল। বুধবার রাত থেকেই এগুলি বিকল। সঙ্গে বন্ধ নেট পরিষেবা। ঝড়ের পর জেলাগুলির অবস্থা কী এবং কোথায় কোথায় বেশি ক্ষতি হল, তার পরিসংখ্যান চেয়ে পুলিস ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে জেলা সদরের কন্ট্রোল রুম বা থানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা দিতে পারেনি তারা। তাই ক্ষয়ক্ষতি বা আটকে পড়া মানুষের সংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে পারেনি বেশিরভাগ থানাই। কোনও পুলিসকর্মীকে ব্যক্তিগত মোবাইলে পাওয়া গেলে সেখান থেকেই তথ্য নেওয়ার চেষ্টা হয়। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন-এর মাধ্যমেও যোগাযোগের চেষ্টা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সিগন্যাল দুর্বল থাকায় তথ্য পাঠাতে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে পুলিসকর্মীদের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ কয়েকটি জেলায় আবার ওয়্যারলেস-এর টাওয়ারও ঝড়ের ধাক্কায় ভেঙেছে। এরসঙ্গে লোডশেডিং হওয়ায় জেলাগুলির দূরবর্তী থানার কাজকর্ম কার্যত লাটে উঠেছে। জানা গিয়েছে, থানাগুলিতে ল্যান্ডলাইন পরিষেবা ঠিক করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে। তবে পরিষেবা ঠিক হতে কয়েকটা দিন সময় লাগবে। ক্ষতিগ্রস্থ দু’একটি জেলায় স্যাট ফোন ব্যাবহার করে সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি বিধ্বস্ত ট্রাফিক সিগনাল ব্যবস্থাও। কলকাতা সহ জেলার সমস্ত জায়গায় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সিগনাল পোস্ট। রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল হয়ে গিয়েছে। জেলা সদরে থাকা ট্রাফিকের হেড কোয়ার্টার্সগুলির সঙ্গে স্থানীয় ট্রাফিক অফিসের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমস্ত জায়গাতেই কনস্টেবলদের মাধ্যমে পুরনো পদ্ধতিতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।