বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উম-পুনের পূর্বাভাসে গতিপথ নদীয়া ছিল না। প্রবল বেগে আসতে আসতে এই ঘূর্ণিঝড় গতিপথ বদলেছে। নদীয়ার উপর দিয়ে গিয়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। চাকদহ, হরিণঘাটা, গয়েশপুর, কল্যাণী এলাকায় কার্যত তাণ্ডব চলেছে। বুধবার বিকেল থেকে একের পর এক গাছ ভেঙে পড়েছে। গাছের ডাল, গুঁড়ি পাকা বাড়িতে পড়ে ব্যাপক হারে ক্ষতি হয়েছে। টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে কয়েকশো মিটার। বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম অরুণ বিশ্বাস(৫১) ও রতন সরকার(৭০)। অরুণবাবুর বাড়ি কল্যাণী ব্লকের নারায়ণপুরে। রতনবাবুর বাড়ি চাকদহের ঘোড়াগাছা গ্রামে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের তাণ্ডবের সময় বাড়িতেই ছিলেন অরুণবাবু। টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরে গাছ ভেঙে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অপরজনেরও বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে। তাঁকে দুর্যোগের মধ্যেই উদ্ধার করে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বুধবার রাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চাকদহ শহরে গাছ পড়ায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা। শুধু চাকদহ নয়, অন্যত্র জাতীয় সড়কে প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা গাছ সরিয়ে দেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। চাকদহ শহর, গ্রামীণ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পাকা ও কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বণ্টন করা হচ্ছে বলে জানান চাকদহ ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
গ্রিন শহরের তকমা অনেক আগে পেয়েছে কল্যাণী। কারণ শহরের প্রতিটি রাস্তার ধারে গাছ রয়েছে। সেই গ্রিন শহরেই উম-পুন তাণ্ডব চালানোয় তছনছ হয়ে গিয়েছে। গাছ ভেঙে পড়ায় বহু পাকাবাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি ব্লকের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে রাস্তায়। বুধবার বিকেল থেকেই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। কল্যাণী পুরসভার কর্তারা জানান, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে। ভেঙে পড়া গাছগুলি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন।
হরিণঘাটা ব্লকে ঘূর্ণিঝড়ের সতকর্তায় ১৫টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছিল। সেখানে প্রায় দু’হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুরো ব্লক ও পুরসভা এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। কয়েক হাজার গাছ মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তবে চাষিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। মাঠে থাকা বিভিন্ন ধরনের ফসল নষ্ট। পেঁপে, ওল, কলা, আম ফলের ক্ষতিতে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।