বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নিগমের এক কর্তা বলেন, পরিবহণ দপ্তর বা কখনও জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে বিনামূল্যে বাস পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। যেসব কর্মী বাস চালিয়েছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। পরিবহণ দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিটি বাস চালানো হয়েছে। আটকে পড়া মানুষকে শহর, শহরতলি বা জেলা থেকে নিজেদের বাড়ির কাছাকাছি কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক তথা এসবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান তমোনাশ ঘোষ বলেন, আমরা একটা অদ্ভুত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দেশজুড়ে লকডাউন করা হয়েছে মানুষের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে। ট্রেন, বাস সবই বন্ধ। কিন্তু এতে বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বহু মানুষকে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফেরানো হয়েছে। আগামী কয়েকদিন প্রয়োজনমতো এই প্রক্রিয়া জারি থাকবে। বেহালা থেকে ৫৬ জন শ্রমিককে মুর্শিদাবাদে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাসের কর্মীদের প্রত্যেককে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক দেওয়া হয়েছে সুরক্ষার জন্য। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ। বিধায়ক হিসেবেও সমপরিমাণ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেবেন বলে জানিয়েছেন তমোনাশবাবু।
এসবিএসটিসি সূত্রের খবর, তাদের বেলঘরিয়া বিভাগ গত ২১ তারিখ থেকে বিশেষ পরিষেবা দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে এই বিভাগের বাস সাঁতরাগাছি, হাওড়া, এসপ্ল্যানেড, বিমানবন্দর, পিজি হাসপাতাল, মেটিয়াবুরুজ, বর্ধমান সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে জেলার নানা জায়গায় গিয়েছে। দুর্গাপুর বিভাগের বাস গত কয়েকদিনে ছেড়েছে পুরুলিয়া স্টেশন, আসানসোল, কলকাতা, বাঁকুড়া, বর্ধমান, সিউড়ি, কালনা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে। দুর্গাপুর বিভাগের বাস চলেছে ২৩,৪০০ কিলোমিটার। বেলঘরিয়া বিভাগের বাস চলছে ৯২ হাজার ১৭০ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে বিশেষ পরিষেবার জন্য ২৪৩টি বাস ব্যবহার করা হয়েছে।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমও গত কয়েকদিনে আটকে পড়া মানুষকে ঘরে ফেরাতে বিশেষ বাস চালিয়েছে। এসব বাস চলেছে সাঁতরাগাছি, হাওড়া, এসপ্ল্যানেডের মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে। এছাড়াও বিমানবন্দর টার্মিনাল থেকে শহর, শহরতলির বিভিন্ন গন্তব্যে বাস চালানো হয়েছে।