বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিশা দাস নামে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি মানিকতলা থানা এলাকার ক্যানাল সার্কুলার রোডে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তিনি প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় দক্ষিণ ট্যাংরা রোডে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। বুধবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি থেকে বের হন। ক্রিস্টোফার রোড এবং জি কে রোডের সংযোগস্থলে গাড়িটি আচমকা খারাপ হয়ে যায়। রীতিমতো সমস্যায় পড়েন তাঁরা। একদিকে গভীর রাত, অন্যদিকে দেশজুড়ে চলা লকডাউনের কারণে শুনশান রাস্তায় তাঁরা কোনও গাড়ি পাচ্ছিলেন না। এত রাতে তাঁদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় কিয়স্কে কর্তব্যরত এক পুলিস কর্মীর। তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গেই ওই পুলিস কনস্টেবল ট্যাংরা থানায় ফোন করে ওসিকে ঘটনার কথা জানান। বলেন, গাড়ি খারাপ হওয়ায় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা রাস্তায় আটকে পড়েছেন। সময় নষ্ট না করে ওসি থানার সাব ইন্সপেক্টর এস সি কোটালকে বলেন, মহিলা পুলিস সঙ্গে নিয়ে সেখানে যেতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই অফিসার মহিলা কনস্টেবলদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে হাজির হন। পুলিসের গাড়িতে তোলা হয় ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারকে। তাঁদের আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভর্তি করা হয় ওই মহিলাকে। পুলিসের এই মানবিকতায় মুগ্ধ গোটা পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, পুলিস সম্পর্কে ধারণাটাই পাল্টে গেল। বিপদে পড়লে পুলিস যে এতটা সাহায্য করতে পারে, তা ভাবা যায় না। এই নিয়ে কলকাতা পুলিসের ডিসি ইএসডি অজয় প্রসাদের বক্তব্য, পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা নির্দেশ দিয়েছেন, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সব রকমভাবে সাহায্য করতে হবে। নাগরিকদের পাশে থাকতে হবে পুলিসকে। তাঁরা দিনরাত সেই চেষ্টাই করে চলেছেন। পুলিসের মানবিক মুখ তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। যাতে পুলিস সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে একটা অন্য ধারণা তৈরি হয়।