বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানা এলাকায়। ঘটনার পর বাইরে থেকে শিকল তুলে দিয়ে চম্পট দেয় ওই যুবক। পরে পাশের ঘরে থাকা বৃদ্ধার এক বোন তাঁর ঘরে ঢুকে দিদি দিদি বলে ডাকাডাকি করলেও সাড়া পাননি। হঠাৎই লক্ষ্য করেন, খাটের তলায় একটি পা দেখা যাচ্ছে। তিনি ভয়ে চিৎকার শুরু করে দেন। স্থানীয় মানুষজন ছুটে আসেন। তাঁরাই খাটের তলা থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ টেনে বের করেন। খবর পাঠানো হয় বজবজ থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। বৃদ্ধার মেয়ে মহুয়া পোল্লে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর আইনজীবী মহম্মদ আজম খান বলেন, এফআইআর দায়ের হওয়ার পর পুলিস খুন ও রাহাজানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। তার ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই ঘটনার সঙ্গে ওই যুবক যুক্ত। সে টুকিটাকি সাহায্য করতে মাঝে মধ্যেই বৃদ্ধার কাছে আসত। ঘটনার দিন সে দুপুরে তাঁর কাছে এসেছিল। তার জন্য ভালোমন্দ রান্নাও করেছিলেন সুমিত্রাদেবী। তিনি অমিতাভকে যত্ন করে খাওয়ান। দুপুরে তাঁরা টেবিলে বসে একসঙ্গে খান। এরপরই সন্ধ্যায় খুনের ঘটনাটি ঘটে। সব তথ্য জানার পরই ওই যুবকের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘোরে পুলিস। কিন্তু তার খোঁজ পায় না। ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহের মাথায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস বকখালি থেকে অমিতাভকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে ফলতা থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া জিনিসপত্র। তদন্তকারী অফিসার ধীমান বৈরাগী জানান, এই ঘটনায় নির্দিষ্ট সময়ে কোর্টে চার্জশিট পেশ করা হয়। এরপর ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়। শুরু হয় মূল মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। মামলায় সরকারপক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেন মোট ১৬ জন। অন্যদিকে, ধৃতের তরফ থেকে সাক্ষ্য দেন দু’জন।