বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
করুণাময়ী থেকে সেক্টর ফাইভ রুটের অটো ইউনিয়ন নেতা সত্যজিৎ মণ্ডল বলেন, প্রথম দু’দিনে যাত্রী বেশ কিছুটা কমেছে। তবে এবিষয়ে তাঁরা সোমবার থেকে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। এক সপ্তাহে কত যাত্রী কমল, তা আগামী সোমবার থেকে শনিবার খতিয়ে দেখা হবে। তারপরেই এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ তাঁরা ঠিক করবেন। কিন্তু, অটোয় কেন যাত্রী কমল? সেবিষয়ে চালকদের দাবি, দ্রুততার কারণে সকলে মেট্রোকে পছন্দ করছেন।
যদিও যাত্রীদের পাল্টা দাবি, সেক্টর ফাইভের উইপ্রো মোড় থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত অটোয় যেতে ১০ টাকারও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অথচ মেট্রোয় সেই দূরত্ব পাঁচ টাকাতেই অতিক্রম করা যাবে। যাত্রীদের আরও যুক্তি উল্টোডাঙা থেকে সেক্টর ফাইভ (উইপ্রো মোড়) পর্যন্ত যেতে এক এক সময় অটো চালকরা ২৫-৩৫ টাকা ভাড়া চান। সেখানে উল্টোডাঙা থেকে বাস ধরে বেঙ্গল কেমিক্যাল এসে, সেখান থেকে মেট্রো ধরে সেক্টর ফাইভ অনেক তাড়াতাড়ি এবং কম খরচে পৌঁছে যাওয়া যাবে। পাশাপাশি যাত্রীদের আরও দাবি, অটো চালকরা যাওয়ার জন্য অনেক সময়েই বিভিন্ন বাহানা করেন। এমনকী বহু সময়ে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার মতোও ঘটনা ঘটে থাকে।
সেই সমস্ত কারণেই সল্টলেকের অটো ছেড়ে এবার মেট্রোকেই বেশি পছন্দ করছেন অনেক নিত্যযাত্রীও। যাত্রী কমার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, সিটি সেন্টার থেকে করুণাময়ী রুটের অটো ইউনিয়ন নেতা অরূপ চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, এই দু’দিনে যাত্রী কিছুটা কমেছে। তবে এটা ধারাবাহিকভাবে থাকছে কি না, সেটাই দেখার। যদিও বহু অটো চালকের দাবি, সবে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে। এখন অনেক যাত্রীই নতুন মেট্রোয় চড়বে, সেই আগ্রহতে যাচ্ছেন। যদিও পরে তাঁরা ফিরে আসবেন বলেই চালকরা আশাবাদী। যদিও ভবিষ্যতে ফুলবাগান এবং শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হলে, যাত্রী যে অনেকটাই কমবে, তা তাঁরাও স্বীকার করে নেন। একইভাবে টেকনোপলিস থেকে যাত্রী ওঠা-নামা শুরু হলেও, অটোয় যাত্রীর সংখ্যায় প্রভাব পড়বে বলে মত বহু অটো চালকেরই।
অটো ইউনিয়নের এক নেতার কথায়, ফ্লাইং যাত্রী যাঁরা চলতে চলতে অনেক সময় অটো ধরে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যান, তাঁদের সংখ্যাই অনেকটা কমবে বলে তাঁরা মনে করছেন। একইসঙ্গে এর ফলে সল্টলেকের যে রুটগুলি মেট্রো যাতায়াতের বাইরে দিয়ে চলাচল করে, সেখানে এখানকার অটোগুলি গিয়ে ভিড় জমাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ফলে অটো চালকদের পকেটে টান পড়তে চলেছে বলেই তাঁর দাবি।