উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের বাবার নাম সমীর মণ্ডল। তিনি মাস নয়েক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। মাস ছয়েক আগে সমীরবাবুর স্ত্রী চিন্তায় চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসকরা জানান তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে কৃষ্ণপদ বাইরে কাজের সূত্রে থাকতেন। মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর থেকে বাড়িতে থেকে তিনি মায়ের সেবাশুশ্রুষা করতেন। ছোট ভাই একটি সাইকেল দোকানে কাজ করেন।
শয্যাশায়ী মায়ের জন্য খাবার তৈরি করা, খাওয়ানো সহ সমস্ত কাজ করার জন্য সিংহভাগ সময় তাঁকে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হতো। এরফলে বাইরে কাজে যাওয়াও তাঁর বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন কাজে না যাওয়ার কারণে আর্থিক সংকট শুরু হয়। এরফলে মায়ের চিকিৎসাও ঠিকমতো করাতে পারছিলেন না। আশপাশের প্রতিবেশীদের সঙ্গে বেশ কয়েক দিন ধরে তিনি কথা বলা বন্ধ করে দেন। রবিবার সন্ধ্যায় দীর্ঘ সময় বন্ধ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা দরজায় ধাক্কা দেন। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে তাঁরা ঘরের ভিতরে ঢোকেন। এরপর ঘরের মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে দ্রুত দেগঙ্গা থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতের আত্মীয় কবির রায় বলেন, কৃষ্ণপদ মায়ের সেবা শুশ্রুষা করার জন্য বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়েছিল। দীর্ঘদিন কাজ না করায় আর্থিক সংকট শুরু হয়। মাকে ছেড়ে কাজেও যেতে পারছিলনা। এই কারণে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। সকলেই তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এইভাবে সে আত্মহত্যা করবে তা কেউই ভাবতে পারেনি।