উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ভাটপাড়া পুরসভায় অস্থায়ী কর্মীরা পুজোর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে ধর্মঘটে নেমেছিলেন। তাতে সাফাই থেকে অন্যান্য নাগরিক পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি ভাটপাড়া পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে মোট ৩২ জন কাউন্সিলারের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষে ১৭ জন। অর্থাৎ তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ। তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ফের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অস্থায়ী কর্মীরা।
সোমবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা পুরসভার ওয়ার্কশপে অস্থায়ী কর্মীরা বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইক, গাড়িতে চেপে ৫০-৬০ জনের একটি দল আসে। অস্থায়ী কর্মীদের মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আক্রমণকারী প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এর পরপরেই পুরসভার বিজেপির চেয়ারম্যান সৌরভ সিং ও তাঁর অনুগামীরা গিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে অস্থায়ী কর্মীরা এদিন কাজে যোগ দেননি।
অস্থায়ী কর্মীরা বলেন, চার মাসের মাইনে বকেয়া রয়েছে। তাই আন্দোলনে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। আচমকাই চেয়ারম্যানের লোকজন এসে মারধর শুরু করে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বেই মারধর করা হয়েছে। পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার কাজে আমরা যোগ দেব না। ভাটপাড়া পুরসভার বিজেপির চেয়ারম্যান সৌরভ সিংকে ফোনে পাওয়া যায়নি। সাংসদ অর্জুন সিংও ফোন ধরেননি। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ তালুকদার বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে জানা নেই। অস্থায়ী কর্মীদের তিন মাসের মাইনে ও পুজোর বোনাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বকেয়া রেখেছে। রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে না বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার পুরো টাকা দিলে অস্থায়ী কর্মীদের কোনও মাইনে বকেয়া থাকবে না। অস্থায়ী কর্মীদের পিছনে শাসক দলের ইন্ধন রয়েছে।