উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রথম পর্বে ট্রেন চালানোর জন্য কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) যে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল, তার বৈধতা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর। এ নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলে দু’টি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি সিআরএসের দেওয়া সময়ের মধ্যে অর্থাৎ চলতি মাসের মধ্যেই নয়া পথে ট্রেন পরিষেবার সূচনা হতে চলেছে? নাকি, সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হবে?
এসব প্রশ্ন নিয়ে মেট্রো ভবন থেকে নির্দিষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি। এক কর্তা বলেন, বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা সূচনার আগে চলতি ট্রায়াল রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। ট্রায়ালে যদি দেখা যায়, সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চালানো যাচ্ছে, তাহলে চলতি মাসের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু, তেমনটা না হলে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন পরিষেবার সূচনা হতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।
আগের ট্রায়ালগুলিতে মূলত কী সমস্যা দেখা গিয়েছিল? মেট্রো সূত্রের খবর, নয়া লাইনে শেষবার ট্রায়াল রান চালানো হয়েছিল গত মাসের শেষে। দু’দিনের সেই ট্রায়ালে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছিল। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানো হলে যেসব পরিকাঠামোকে সচল রাখতে হবে, তার সবই সেই সময়ে খোলা রাখা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, আগের চেয়ে সার্বিকভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রায়াল রানে ইস্ট-ওয়েস্ট পথে ট্রেনের দরজা ও প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরের মধ্যে প্রতি ক্ষেত্রে সমন্বয় না থাকা সহ একাধিক ‘ত্রুটি’ নজরে এসেছিল মেট্রো কর্তাদের। তা নিয়ে নির্মাণকারী সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর একাংশ নয়া ব্যবস্থার সঙ্গে চালকদের পুরোপুরি অভ্যস্ত না হয়ে উঠতে পারার দিকেই আঙুল তুলেছিল। তারা জানিয়েছিল, চালকরা অভ্যস্ত হয়ে উঠলেই এই সমস্যা মিটে যাবে। কিছুটা সময়ের ব্যবধানে সেই সমস্যা কতটা কাটিয়ে ওঠা গেল, তা দেখার পাশাপাশি সার্বিক বিষয়টি এবারের ট্রায়াল রানে দেখা হবে বলে খবর।