বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হাওড়ার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল বিদ্যাসাগর সেতু। যার শিলান্যাস হয়েছিল ১৯৭২ সালে, করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ব্রিজটির কাজ শুরু হয় ’৭৯ সালে। কাজ শেষ হয় ৯৪ সালে। গঙ্গার উপরে ২৭০০ ফুটের এই সেতু দেশের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ কেবল স্টেইড ব্রিজ এটি। ব্রিজটিতে ১৫০টি স্টে কেবল রয়েছে। যখন ব্রিজটি চালু হয় তখন তার লোড ক্যাপাসিটি ছিল ২৮ হাজার গাড়ি। বর্তমানে সমীক্ষা অনুযায়ী প্রতিদিন গাড়ি চলে ৮৫ হাজার। দেশের মধ্যেও গাড়ি চলাচলের সংখ্যায় এগিয়ে এই বিদ্যাসাগর সেতু। এই সেতুর পাশে ১৫ তলা ভবন নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর চলে আসায় গাড়ির সংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই নিয়মিত নজরদারি করার জন্য ওই বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা হয়েছে। যারা স্টে কেবল, হোল্ডিং ডাউন কেবল, ডেক স্ল্যাব, এক্সপ্যানশন জয়েন্ট-র স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে। প্রয়োজনে পরিবর্তনও করবে। এর জন্য ১৫০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
উত্তর কলকাতার ব্যস্ততম টালা ব্রিজের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মত, মেরামত করে ফের এটি চালু করলে ভারবহনের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। ব্রিজটির সাতটি স্প্যানেই ত্রুটি রয়েছে। যেসব জায়গায় বেশি পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে, সেই জায়গাকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু কংক্রিট নয়, লোহার অংশেও ক্ষতি দেখা গিয়েছে। কংক্রিট ও লোহার অংশ নিয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সেতুটি ভাঙা হলে তা রেলকে সঙ্গে নিয়েই করতে চায় নবান্ন। কারণ, রেলের অংশে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞদের মতামত। টালা ব্রিজ ভেঙে একই জায়গায় নতুন করে ব্রিজ বানাতে চান নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা।
সরকারি অফিস খুললেই টালা ব্রিজ নিয়ে বৈঠক বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেই বৈঠক করবেন। আজ তাঁর দলের ব্লক-টাউন সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বুধবার ১৬ অক্টোবর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে আলিপুরের সৌজন্য ভবনে। ১৭ তারিখ নবান্ন সভাঘরে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠান রয়েছে। এরই মধ্যে কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও ফিরে আসবেন। তিনি পুরস্কার নিতে কোপেনহেগেন গিয়েছেন। তাঁর ১৬ তারিখ ফেরার কথা। তবে এই বৈঠকের আগে টালা ব্রিজ বন্ধ হলে সমস্ত রুটের বাস কোন রুট দিয়ে যাবে তার পরিকল্পনা করতে পরিবহণ দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চলাচলে বিকল্প রুট করে টালা ব্রিজ ভাঙার কথা ঘোষণা করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।