বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিজেপির শ্রমিক শাখার হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বন্ধ জুটমিল নিয়ে আমরা পুজোর পরেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার বন্ধ জুট মিল খোলার জন্যে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। কেবলমাত্র শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এর জেরে বন্ধ মিলগুলিতে মৃত্যুমিছিল চলছে। পুরসভা নির্বাচন অন্য বিষয়। আমরা কেবল শ্রমিকদের পাশে থেকে একটি শিল্পকে বাঁচানোর রাস্তা খুঁজতে চাইছি। যদিও বিষয়টির পেছনে থাকা রাজনীতি ভালোই অনুভব করতে পারছে শাসকদল। তৃণমূলের শ্রমিক শাখার অন্যতম শীর্ষনেতা অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার জুটমিল নিয়ে যথেষ্ট কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। বন্ধ জুটমিল খোলার জন্যও চেষ্টার অভাব নেই। মনে রাখতে হবে জেলার ১০টি জুটমিলকে বামেরা ধ্বংস করে গিয়েছিল। কিন্তু অন্তত সাতটি জুটমিল ভালোভাবে চলছে। বন্ধ মিলের শ্রমিকদের সরকারি ভাতা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির শ্রমিক শাখা ভোটের রাজনীতি করতে চাইছে। শ্রমিকদের জন্যে আন্তরিক হলে কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়ে বন্ধ মিল খোলানোর উদ্যোগ নেওয়া হতো।
হুগলিতে ১০টি জুটমিল আছে। তার সিংহভাগই পুরসভা এলাকাকেন্দ্রিক। সেখানকার শ্রমিকরাও বেশিরভাগই পুরসভা এলাকারই বাসিন্দা। এরমধ্যে বন্ধ তিনটি জুটমিল মূলত, চন্দননগর, শ্রীরামপুর ও ভদ্রেশ্বর পুরসভা এলাকাকেন্দ্রিক। এই বন্ধ জুট মিলগুলি খোলার দাবি নিয়েই পুজোর পরে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির শ্রমিক শাখা। ইতিমধ্যে জেলার একমাত্র কর্পোরেশন চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল নিয়ে কিছুদিন আগেই বিজেপি একদফা প্রচারে নেমেছিল। এবার আরও সংগঠিতভাবে আন্দলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দলের শ্রমিকশাখার অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর নির্বাচনের দামামা বাজার আগেই শ্রমিক মহল্লাগুলিতে শাসক বিরোধিতার মশাল গেরুয়াশিবির জ্বেলে দিতে চাইছে। শ্রমিকমহল্লায় জনভিত্তি তৈরি হলে তা পুরনির্বাচনী ময়দানে বড় ভরসার জায়গা হতে পারে। আবার হুগলি শিল্পাঞ্চল নিয়ে আমজনতারও একটি অনুভূতি আছে। সেটিকেও উস্কে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।