বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মাঝেরহাটকাণ্ডের পর শহরের সবক’টি সেতুর মতোই উল্টোডাঙার অরবিন্দ সেতুর অবস্থাও খতিয়ে দেখেন কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা। তখনই দেখা যায়, ওই সেতুর অবস্থা খুব একটা বেহাল না হলেও, সেখানকার সব বিয়ারিং মরচে ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই বিপদের কথা ভেবে সেতুর নীচে থাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর করা হয়।
ব্যবসায়ীদের কথায়, এই সেতুর তলায় তাঁদের ব্যবসা ছিল। মোট ২৪টি ছোট কারখানা। রীতিমতো ছোট শিল্পতালুকই বলা যায়। এই শিল্পের সঙ্গে শুধু তাঁরাই নন, তাঁদের পরিবারও যুক্ত। ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগম এবং কেএমডিএ’র কর্তারা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২০ নভেম্বর বি টি রোডের উপরে ডানলপের ইটিডিসি ভবনে ওই ২৪টি শিল্পকে স্থানান্তর করা হয়। এরকমই এক ব্যবসায়ী তথা উল্টোডাঙা মিনি ইন্ডাস্ট্রিজ স্মল স্কেল ইউনিট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চঞ্চল দে’র কথায়, ডানলপের ওই দোতলা ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেটিকে সামান্য সংস্কার করে সেখানে আমাদের স্থানান্তর করা হয়েছিল। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে সংস্কার করে ফের সেতুর তলায় আগের জায়গাতেই আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই কাজ আজও শুরু হয়নি। ৪০ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করছি। লিজ অনুযায়ী প্রতি মাসে যা ভাড়া, তা ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগমে জমাও দিয়ে আসছি। সূত্রের খবর, গত ৩০ সেপ্টেম্বর যে বৈঠক হয়, তাতে ডব্লুবিএসআইডিসি’র কর্তারা ব্যবসায়ীদের বলেন, এখনও সেতুর সংস্কারের বিষয়ে তেমন একটা অগ্রগতি হয়নি। তাই ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। ডানলপে ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের জায়গা করে দেওয়ার কথা বলেন। তাতে রাজি হননি ওই ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথায়, এতে তাঁদের ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই তাঁরা ডানলপে যাবেন না।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডানলপের ওই বাড়িটি শহর থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। কারণ, যাঁরা তাঁদের সঙ্গে কাজ করতেন, তাঁরা অত দূরে গিয়ে ব্যবসার মালপত্র নিতে চাইছেন না। যে কারণে বরাতও পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু মাত্র ২৪ জন ব্যবসায়ীর মধ্যে তিনজন কাজ করছেন। আবার ওই বাড়িতে নেই পর্যাপ্ত বিদ্যুতের সংযোগ। কাঁচামাল এবং সুলভ শ্রমিকের অভাবে বরাত হাতছাড়া হচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনার খরচও অনেক বেড়ে গিয়েছে।