বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
৬ নং জাতীয় সড়কে বাগনান-আমতা রোডে কয়েক কিলোমিটার গেলেই জোকা গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, কৃষিজীবী অধ্যুষিত এই গ্রামে প্রতি বছর বন্যায় প্রচুর ফসল নষ্ট হতো, ১৯৭৮ সালের বিধ্বংসী বন্যায় ভেসে গিয়েছিল গ্রামের সমস্ত ফসল। তখন বন্যার হাত থেকে গ্রামকে রক্ষা করার জন্য গ্রামের কয়েকজন যুবক গ্রামে ধনদেবীর আরাধনা শুরু করেন। আর তারপর থেকেই প্রতি বছর ধুমধাম সহকারে ধন অধিষ্ঠাত্রী দেবীর আরাধনা শুরু হয়। জোকা গ্রামে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৪/২৫টির মত লক্ষ্মীপুজো হয়, যাদের বাজেট ২ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে জোকা ক্লাব সৃষ্টি এবার তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে বুদ্ধগয়ার থাই বুদ্ধ মন্দিরের আদলে। শুধু মণ্ডপসজ্জাই নয়, প্রতিমাতেও থাকছে চমক। এই মণ্ডপে সপরিবারে হাজির হর-পার্বতী। যেখানে লক্ষ্মী তাঁর দুই ভাই কার্তিক ও গণেশকে ভাইফোঁটা দিচ্ছেন।
অন্যদিকে, জোকা ইন্টারন্যাশনাল বাঁশকাঠি দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে। যেখানে রূপা ও দস্তার দেবী মূর্তি শোভা পাবে। জোকা পাওয়ার সঙ্ঘ তাদের মণ্ডপে স্কুলের বাল্যপ্রেম থেকে কলেজ, হোটেল, পার্ক সহ বিভিন্ন জায়গার প্রেমের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলে ধরেছে— যেটা দেখলে আরতি মুখোপাধ্যায়ের ‘তখন তোমার একুশ বছর’ গানটি স্মরণ করিয়ে দেবে। জোকা শীতলামাতা সঙ্ঘ গেঁড়ি-গুগলি দিয়ে লোটাস টেম্পলের আদলে তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে। জোকা শিবতলা অ্যাকশন কমিটি সনৎ সিংহের গানের কলিতে তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে। যেখানে ছেলেদের পাঠশালায় নামতা পড়া, নন্দীবাড়ির আটচালায় কুমোরের ঠাকুর গড়া, ঢাকের বাদ্যি সব কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে। এছাড়াও প্রেমিক সংঘ, নেতাজি সঙ্ঘ, জোকা দক্ষিণপাড় জুনিয়র স্টার ক্লাবের পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমাও সকলের নজর কাড়বে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের।