সংবাদদাতা, তেহট্ট: সজলধারা প্রকল্প তৈরি হলে মানুষের পানীয় জলের সমস্যা দূর হবে, এমনটাই আশা করেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই আশা জাগিয়েছিল সজলধারার খাঁচা তৈরি হওয়ায়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই খাঁচাতে না বসেছে জলের ট্যাঙ্ক, না বসেছে মোটর। তাই মানুষ জলও পাননি। বাধ্য হয়ে তাঁদের এখন জল কিনে খেতে হচ্ছে। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তেহট্ট-২ ব্লকের হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঈশ্বরচন্দ্রপুরের বাসিন্দারা। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই সজলধারা তৈরি হবে। জানা গিয়েছে, ঈশ্বরচন্দ্রপুরে বেশ কয়েকটি সজলধারা প্রকল্প গ্রহণ করে প্রশাসন। তারমধ্যে রয়েছে কুলুইতলা পাড়া, পূর্ব পাড়া, মাঠ পাড়া সহ পাঁচটি জায়গা। সেখানে এক বছর আগে খাঁচা তৈরি হয়েছে। তখন মানুষ ভেবেছিলেন, এবার পানীয় জলের কষ্ট দূর হবে। কিন্তু জলের সমস্যা বাস্তবে মিটল না। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা সুভাষ বিশ্বাস বলেন, প্রায় এক বছর আগে এটা তৈরি হয়েছে। আমাদের এলাকায় পানীয় জলের খুব অভাব। আমাদের এই জায়গায় বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। আমাদের পানীয় জল কিনে খেতে হয়। সজলধারা প্রকল্প তৈরি শুরু হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আর পানীয় জল কিনে খেতে হবে না। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও এখনও প্রকল্পের কাজই শেষ হল না। অথচ অন্য জায়গায় এই কাজ শেষ হয়ে গিয়ে পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েছি। তাতেও কোন ফল হচ্ছে না। একই কথা বলেন সন্ন্যাসী মণ্ডল, নবকুমার মণ্ডল সহ অন্য গ্রামবাসীরা।
এই বিষয়ে হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৭ নম্বর বুথের সদস্য প্রদ্যুৎ জোয়ারদার বলেন, আমি যতদূর জানি, এটা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে করা হচ্ছে। আমি বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতিতে জানিয়েছে। আশা করছি কাজটা হয়ে যাবে। তেহট্ট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতাজ মণ্ডল বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তেহট্ট-২ ব্লকের বিডিও বুধাঙ্কুর ঠাকুর বলেন, বিষয়টি জানতাম না খোঁজ নিয়ে দেখছি।