কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
নদীয়া জেলার খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক অভিজিৎ ধাড়া বলেন, এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। আমরা ধান কেনার উপর জোর দিচ্ছি। বোরো মরশুমে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু এখনও চাষিরা ধান বিক্রি করার বিষয়ে সেভাবে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। শেষ দু’সপ্তাহে মাত্র ৮-১০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। বছরের অন্য সময়ে কিষাণ মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করতে চাষিদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কারণ খোলা বাজারের তুলনায় সহায়ক মূল্য বেশি থাকে। কিন্তু এবার ধান কেনার গতি অনেকটাই কম। ১ নভেম্বর থেকেই ধান কেনা শুরু হয়েছে। এবার নদীয়া জেলায় ধান কেনার জন্য সিপিসির সংখ্যা আরও দু’টো বেড়েছে। এবার ২৭টি সিপিসিতে ধান কেনা চলছে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, অর্থাৎ দু’মাসে ১ লক্ষ ৪ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছিল খাদ্যদপ্তর। নভেম্বর থেকে মার্চ অবধি সাড়ে চার মাসে মাত্র ২ লক্ষ ৮ হাজার মেট্রিক টন বোরো ধান কেনা হয়েছে। অর্থাৎ বিগত তিন মাসে মাত্র ১৬ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছে খাদ্যদপ্তর।
যদিও ধান উৎপাদন কম হওয়া এর অন্যতম কারণ। বৃষ্টির ঘাটতির কারণে নদীয়া জেলায় ধানের ফলন মার খেয়েছে। ফলে জেলায় চালের ঘাটতি কীভাবে মেটানো হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কয়েকবছর ধরেই বৃষ্টির ঘাটতি ধানচাষে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। ফলে ধান বিক্রিতে তার প্রভাব পড়েছে। ধানের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় অনেক চাষিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে মাণ্ডি। যার ফলে চাষিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।