বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হার্দিকরা পরাজয়ের হ্যাটট্রিকের পর খুঁজে পেয়েছেন জয়ের সরণি। জিতেছেন পরপর দুই ম্যাচ। তাদের পকেটে এখন ৪ পয়েন্ট। চেন্নাই অবশ্য পাঁচটার মধ্যে জিতেছে তিনটিতে। ছয় পয়েন্ট ঝুলিতে নিয়ে ওয়াংখেড়েতে নামছেন ঋতুরাজরা। তবে হলুদ জার্সিধারীদের চিন্তায় রাখছে বোলিং। চিপকের মন্থর ঘূর্ণি পিচে তাদের বোলাররা কার্যকরী হলেও ওয়াংখেড়েতে কতটা সফল হবেন তা নিয়ে সংশয় থাকছে। ব্যাটিং সহায়ক বাইশ গজে সেজন্যই বড় পরীক্ষা মুস্তাফিজুর রহমান, রবীন্দ্র জাদেজাদের। তবে ওয়াংখেড়ের পিচ সম্পর্কে শার্দূল ঠাকুর ও তুষার দেশপাণ্ডের স্পষ্ট ধারনা রয়েছে। কারণ তাঁরা দু’জনেই ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন কয়েক মাস আগে। তবে বাণিজ্যনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যাটিংকে বশ করা খুব একটা সহজ হবে না। ওপেনিংয়ে রোহিতের সঙ্গে ঈশান কিষানের জুটি ছন্দে রয়েছে। ঈশান সদ্য দুশোরও বেশি স্ট্রাইক রেটে আরসিবি’র বিরুদ্ধে ৬৯ করেছেন। তিনে নেমে সূর্যকুমার যাদবও ফিরে পেয়েছেন পুরনো ফর্ম। মাত্র ১৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। হার্দিক ছাড়াও তিলক ভার্মা, টিম ডেভিড, রোমারিও শেফার্ড, মহম্মদ নবির উপস্থিতি বাড়িয়েছে ব্যাটিং গভীরতা।
চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের অবশ্য সামলাতে হবে বিধ্বংসী মেজাজে থাকা যশপ্রীত বুমরাহকে। পাঁচ উইকেট নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনিই কোহলিদের বিরুদ্ধে তফাত গড়ে দিয়েছিলেন। ঋতুরাজ, রাচীন রবীন্দ্র, শিবম দুবে, রাহানে, জাদেজাদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং যত মজবুতই দেখাক, বুমরাহর মকোবিলা করা একেবারেই অন্য চ্যালেঞ্জ। বুমবুম এর মধ্যেই নিয়ে ফেলেছেন ১০ উইকেট। তবে জেরাল্ড কোয়েৎজি, শেফার্ডরা রান আটকাতে পারছেন না। হার্দিকও আরসিবি’র বিরুদ্ধে এক ওভারে দেন ১৩ রান। নবিকে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও মুন্সিয়ানার পরিচয় দেননি মুম্বই অধিনায়ক। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে তাই নেতা হার্দিকের সামনে জটিল প্রশ্নপত্র।