বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
জেলার অন্যতম পাথর শিল্পাঞ্চল নলহাটি। প্রতিদিন এই শিল্পাঞ্চল থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা করে রাজস্ব আদায় হচ্ছে। এখানে নশিপুর ও বাহাদুরপুরে বড় পাথর খাদান ও অসংখ্য ক্রাশার রয়েছে। জেলার অন্য পাথর শিল্পাঞ্চলের তুলনায় এখানে টন প্রতি ২৫০ টাকা করে দাম কম। সেকারণে এই শিল্পাঞ্চলে পাথর নিতে আসা লরি ও ট্রাক্টরের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে নলাটেশ্বরী সতীপীঠে বড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নিত্যদিন জাতীয় সড়কের সিএডিসি মোড় থেকে শিল্পাঞ্চলে যাওয়ার রাস্তায় দীর্ঘ যানজট দেখা দিচ্ছে। যা রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ককে অবরুদ্ধ করে তুলছে। কয়েক কিমি ধরে যানজট দেখা দিয়েছে। যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে যাতায়াত করাও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
দিন পাঁচেক আগে যানজটে আটকে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যানজটের কারণে এই রাস্তায় দুর্ঘটনাও ঘটছে। অফিসযাত্রী, স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিসকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, পাথর শিল্পাঞ্চলে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত বেহাল। ফলে সেখানে গাড়ির গতি কম। তার উপর জায়গায় জায়গায় পাথরবোঝাই লরি থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। ফলে যানজট হচ্ছে। মাত্র একটি সংকীর্ণ রাস্তা দিয়েই রোজ অনেক পাথরবোঝাই লরি যাতায়াতের ফলে রাস্তাটিও বেহাল হয়ে পড়ছে। সেজন্য পাথরবোঝাই লরির জন্য একটি বিকল্প রাস্তা তৈরির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। ১৭ মে এবিষয়ে বর্তমান পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।
এরপরই সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন পাথর ব্যবসায়ীরা। কয়েকমাস আগে পর্যন্ত এই শিল্পাঞ্চলে মালিকপক্ষের একটি ইউনিয়ন ছিল। যার সভাপতি, সম্পাদক ছিলেন। এখন তা ভেঙে দিয়ে ১৮জনের একটি কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির অন্যতম সদস্য আনন্দ যাদব বলেন, আমরা নলহাটি শহর ঘেঁষা কানিশাইল গ্রাম থেকে মাঠ হয়ে একটি রাস্তা করতে চাই। যেটা একদিকে ভবানন্দপুর নিয়ে নশিপুর শিল্পাঞ্চল, অন্যদিকে লক্ষ্মণমারা, গোবরাজুলি হয়ে বাহাদুরপুর শিল্পাঞ্চলে যাবে। রাস্তাটির জন্য কোনও গ্রামের অসুবিধা হবে না। সোজা দুই শিল্পাঞ্চলে রাস্তাটি উঠবে। সাত কিমি রাস্তা তৈরি করতে ২০ কোটি টাকা আমরা দেব। জমির ন্যায্য মূল্যও দেব। আমরা প্রশাসনিক সহযোগিতা চাইছি।