আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
কেন গোয়ালপোখরকে কালো ঘোড়া মানছেন তিনি? প্রত্যয়ী কানাইয়ালাল বলেন, এখানে হিন্দু ভোট কম আছে। স্বাভাবিকভাবে বিজেপি বেশি সুবিধা করতে পারেনি। কংগ্রেসের কোনও সংগঠন নেই। বাম-কংগ্রেস প্রার্থী কিছুটা ভোট কাটলেও বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ভোটের ব্যবধান অনেকটা বেড়ে যাবে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই বিধানসভায় ধারাবাহিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে। গত লোকসভায় এই বিধানসভা থেকে তৃণমূল পেয়েছিল ৭৯ হাজার ৬৮২ ভোট। মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট বেড়ে হয় ১ লক্ষ ৫ হাজার ৬৪৯। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত লোকসভা ভোটে গোয়ালপোখর বিধানসভা থেকে তৃণমূল ৪৮ হাজার ২৪১ ভোটে লিড পেয়েছিল। ২১ এর বিধানসভায় সেই লিড বেড়ে হয় ৭৩ হাজার ৫১৪। সেখানে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ৩১ হাজার ৪৪১ ভোট। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট সামান্য বেড়ে হয় ৩২ হাজার ১৩৫। কংগ্রেস কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর অন্যতম স্পর্শকাতর একটি বিধানসভা। এই বিধানসভার উত্তর দিকে ইসলামপুর, দক্ষিণ-পশ্চিমে চাকুলিয়া, দক্ষিণ পূর্বে করণদিঘি এবং পূর্ব দিকের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাংলাদেশের সীমান্ত ও পশ্চিমে বিহারের কিষানগঞ্জ জেলা। গোয়ালপোখর বিধানসভা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। এই বিধানসভায় রয়েছে একটি ব্লক, গোয়ালপোখর-১ ব্লক। এই ব্লকের অধীনে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং একটি পঞ্চায়েত সমিতি। প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত ও গোয়ালপোখর-১ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলেরই দখলে। এই ব্লকের অধীনে থাকা তিনটি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে দু’টি জেলা পরিষদ আসন কংগ্রেসের। একটি জেলা পরিষদ আসন তৃণমূলের। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানিও কানাইলালের সুরে বলেন, এবার গোয়ালপোখর থেকে অন্তত ৫০ হাজার লিড আমাদের থাকবেই।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর। তিনি বলেন, গত বিধানসভা ভোটের আগে অমিত শাহ এনআরসি লাগুর কথা বলেছিলেন। ফলে তৃণমূল মানুষের মনে এনআরসি আতঙ্ক তৈরি করতে পেরেছিল। তার ফলেই তাঁদের লিড প্রায় ৭৪ হাজার হয়। এবার লিড অনেক কমবে।