বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র কব্জায় বিজেপির। কিন্তু ২০১৯ সালের ভোটে এখানে তাদের পক্ষে ঝড় ওঠে। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু প্রধান চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্র ছাড়া বাকি ছ’টিতেই বিশাল লিড পায় পদ্ম শিবির। নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৭। যা প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ৫৯.০৭ শতাংশ। যারমধ্যে দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার সর্বাধিক, প্রায় ৭৩ শতাংশ। কালিম্পংয়ে ৬৬.৫৫, কার্শিয়াংয়ে ৭২.১২, মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে ৬৪, শিলিগুড়িতে ৬২, ফাঁসিদেওয়ায় ৫৪.৪৮ ও চোপড়ায় ২৬.২৯ শতাংশ ভোট পায়।
এর দু’বছরের মাথায় হয় বিধানসভা ভোট। অর্থাৎ একুশের নির্বাচন। সেই ভোটে মেরুকরণের রাজনীতি হলেও ঝড়ে পাওয়া পদ্ম শিবিরের ভোট কার্যত উধাও হয়ে যায়। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে কালিম্পং কেন্দ্র দখল করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই বিধায়ক এখন অনীত থাপার বিজিপিএমে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে বিজেপির ভোট ৬৬.৫৫ থেকে কমে দাঁড়ায় ৩৫.০৯ শতাংশ। বাকি ছ’টি কেন্দ্রের মধ্যে তারা পাঁচটি দখল করলেও সেগুলিতেও কমেছে তাদের প্রাপ্ত ভোট। দার্জিলিংয়ে ৭৩ থেকে কমে ৪১, কার্শিয়াংয়ে ৭২.১২ থেকে কমে ৪২, মাটিগাড়ায় ৬৪ থেকে কমে ৫৯, শিলিগুড়িতে ৬২ থেকে কমে ৫০, ফাঁসিদেওয়ায় ৫৪.৪৮ থেকে কমে ৫০.৮৯ শতাংশ হয়েছে। চোপড়ায় অবশ্য ২৬.২৯ থেকে সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ২৯.৪ শতাংশ।
এরপর ২০২২ সালে দার্জিলিং পুরসভার ভোট, জিটিএ’র নির্বাচন ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটে তেমন ভেলকি দেখাতে পারেনি পদ্ম শিবির। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি যায় তৃণমূলের দখলে। এসব অঙ্কেই তৃণমূল দার্জিলিং কেন্দ্র জয়ের স্বপ্ন দেখছে। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা আনন্দময় বর্মন অবশ্য বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে ভোট হবে। কাজেই এবার বিজেপি এখানে রেকর্ড ভোটে জিতবে।
অন্যদিকে, গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই ওয়ার্মআপ শুরু করেছে তৃণমূল। কখনও তারা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে যান। আবার কখনও ‘গ্রামে চলো’ কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়া রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার সহ একাধিক কর্মসূচি তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, এবার হাওয়া নেই। তাই হিন্দু তাস খেলেও পদ্ম শিবির সাড়া ফেলতে পারেনি। সুখে, দুঃখে সর্বদা মানুষের পাশে আছি। তাই এবার এখানে জোড়াফুল ফুটবেই।