বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পাহাড়ের পুলবাজার এলাকায় নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস এবং প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে একটি ছোট গাড়ি চেকপোস্টোর কাছে আসে। সেই সময় তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির পিছেনের ডিগি থেকে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। অরুণ প্রধান নামে ওই ব্যক্তি নগদ টাকার বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। তাঁর বাড়ি দার্জিলিংয়ে। তিনি নিজেকে বিজেপির জেলা নেতা বলে দাবি করেন।
দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত নিজেকে বিজেপি নেতা বলে দাবি করেছেন। সমগ্র ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত সোমবার ফাঁসিদেওয়া থানার ঘোষপুকুরে আরএক বিজেপি নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয় হিসাব বহির্ভূত প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। পরপর একই রকম ঘটনায় ভোটের ময়দান সরগরম। বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ও অনীত থাপার বিজিপিএম। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষের মন্তব্য, বিজেপি সারাবছর মানুষের সঙ্গে থাকে না। তাই এখন টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। বিজিপিএমের মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ভোটের ময়দানে পদ্মের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ওরা পাহাড়বাসীর কোনও স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি। তাই ভোটের ময়দানে টাকা ছড়াচ্ছে।
এই ঘটনায় বিজেপির পার্বত্য সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান অবশ্য বলেন, অরুণ বিজেপি করে। তাই ভোটের আগে মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে বিজেপির বদনাম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল ও বিজিপিএম। ওদের নেতা-মন্ত্রীদের ঘর থেকেই কালো টাকা উদ্ধার করেছে ইডি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই কাদের কাছে হিসেব বহির্ভূত টাকা রয়েছে, তা সকলেই জানেন।
দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার বলেন, হিসাব বহির্ভূত টাকা, মদ, মাদক প্রভৃতির অবৈধ লেনদেন রুখতে সক্রিয় রয়েছে পুলিস ও প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিপুল টাকার মদ, মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।