নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: পর্ণশ্রীর আড়াই সি মোড়। সেখানকার সানাই অনুষ্ঠান বাড়িতে আজ আর আশাবরীর আলাপ শোনা যাচ্ছে না। শুধুই বিষাদের সুর। কারণ ঢিল ছোড়া দূরত্বে এক আবাসনে দাদাকে হারিয়ে শোকে কাতর আদরের ছোট বোন। প্রীতম কাউর। দাদার শরীরে অবস্থা যে ভালো নয়, দুপুর থেকেই জানতেন। কিন্তু শেষবারের জন্য যে আর দেখা হবে না, কথা হবে না— তা বোধহয় ভাবতে পারেননি প্রবীণা। দাদা মনমোহন সিং আর নেই। খবরটি পাওয়া মাত্র নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি। তড়িঘড়ি দিল্লির বিমান ধরতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। চোখে-মুখে একরাশ বিষণ্ণতা। ভাঙা গলায় দু’-চার কথা বললেন, ‘এখন আর কথা বলার সময় নেই। দাদার শেষকৃত্যে যোগ দিতে শহর ছাড়তে হচ্ছে। তাঁর চলে যাওয়া শুধু ভারতীয় রাজনীতি নয় জাতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে শুধু রাজনীতি বা অর্থনীতিতে তাঁকে বেঁধে রাখাটা ঠিক নয়। এখনকার যুগে এত সৎ মানুষ দেখা যায় না।’ এটুকু বলেই গাড়ির কালো কাচ তুলে রওনা দিলেন বিমানবন্দরের পথে। আর এই কালো বোধহয় দাদা ও বোনের মধ্যে এক অদৃশ্য দূরত্ব রেখে গেল। রেখে গেল কিছু স্মৃতি আর মনকেমন।
সূত্রে খবর, রাত ১১টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছয় প্রীতম কাউরের গাড়ি। ইতিমধ্যেই তাঁর জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে ভারত সরকার। সেই বিমানেই দিল্লি পাড়ি দেন। এদিকে, দিল্লি এইমস থেকে রাত প্রায় ১২ টা ৪০ মিনিট নাগাদ বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয় মনমোহন সিংয়ের মরদেহ। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা এবং কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।