কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
অভিযোগ, আবর্জনার নগরীতে পরিণত হয়েছে পানিহাটি। অলিগলি তো বটেই সম্প্রতি বিটি রোডের উপরও আবর্জনা ফেলছে পুরসভার গাড়ি। কার্যত ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানিয়ে ফেলা হয়েছে শহর। প্রায় ৪০ শতাংশ রাস্তায় আবর্জনা জমে রয়েছে। সাধারণ মানুষ লাগাতার অভিযোগ জানাচ্ছে। তিতিবিরক্ত হয়ে সোদপুর ট্রাফিক পুলিস বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় আবর্জনা ফেলা বন্ধ করে দিয়েছে। এবার শহরের বিপুল পরিমাণ আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে মাথায় হাত পুরসভার। বছর ঘুরতে চললেও পানিহাটির আবর্জনা সমস্যা মিটল না। উল্টে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের আন্দোলনের জেরে এখনও পুরসভা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলতে পারছে না। তার উপর কল্যাণী হাইরোডের পাশে পুরসভার নিজের জমিতে নয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি আদৌ হবে কি না তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেএমডিএ আবর্জনা সংগ্রহের গাড়ি কম পাঠাচ্ছে। বৃহস্পতিবার মাত্র দু’টি গাড়ি এসেছিল। বুধবার এসেছিল একটি। গত কয়েক সপ্তাহ ধাপায় আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার গাড়ির সংখ্যা কমে যাওয়ায় ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। অমরাবতী মাঠে আবর্জনার পাহাড় জমেছিল। সোদপুর উৎসবের জন্য তা সরাতে হয়েছে। ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে উৎসব। তাই ওই মাঠে এখন আবর্জনা ফেলা যাচ্ছে না। ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা হচ্ছে শহরজুড়ে। ফলে শহরজুড়ে এখন আবর্জনার স্তূপ।
বিটি রোডের রাজা রোডের মুখে পাহাড় সমান জঞ্জাল। তীব্র দুর্গন্ধ। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। ডানলপগামী লেনের অর্ধেক আবর্জনায় ঢেকে। এর পাশাপাশি সুভাষ নগর রাজা বস্তি লাগোয়া বিটি রোড, পানিহাটি স্পোর্টিং ক্লাব মাঠের সামনে, নীলগঞ্জ রোড, ডাকব্যাগ মোড়, সোদপুর সরকারি আবাসন, সোদপুর স্টেশনের এক নম্বর টিকিট কাউন্টারের সামনে, সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডের নতুন রাস্তা ইত্যাদি জায়গায় আবর্জনার পাহাড়। লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এ ছাড়াও গঙ্গার পাড় সহ অলিগলিতেও আবর্জনা।
এদিন সকালে পুরসভার ডাম্পার বিটি রোডের রাজা রোডের মুখে আবর্জনা ফেলতে গিয়েছিল। ট্রাফিক পুলিস ছুটে গিয়ে সে কাজ আটকায়। তারপর পুরকর্মীদের রাস্তায় আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করে। এই ঘটনায় প্রমাদ গুনতে শুরু করে পুরসভা। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জঞ্জাল ফেলার জায়গা নেই। কেএমডিএ আগে প্রতিদিন বিটি রোড থেকে আবর্জনা নিয়ে চলে যেত। এখন তা জমে থাকছে। পুলিসের কথাও অযৌক্তিক নয়। এই মুহূর্তে আমরা আবর্জনা নিয়ে তীব্র সমস্যায় রয়েছি।’