কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গল থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে জিনাত নামে এক বাঘিনি। তাকে ধরতে সমস্ত টোপ ব্যবহার করছে বনদপ্তর। কিন্তু, সেই টোপ গিলছে না জিনাত। ট্র্যাঙ্কুলাইজ অভিজ্ঞরাও তৈরি। কিন্তু, চোখের সামনে তো মিলতে হবে! এদিকে, বাঘের আবহেই লোধাশুলি সংলগ্ন জিতুশোলে একটি কর্মশালায় ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের (অ্যামেচার রেডিও) সাধারণ সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস এবং কয়েকজন রেডিও অপারেটর। সেই কর্মশালা শেষ করে তাঁরা বাঘের খোঁজ শুরু করেন। লুকনো রেডিও সিগন্যাল খুঁজে বের করার জন্য অ্যামেচার রেডিও অপারেটররা ‘ফক্স হান্টিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যেহেতু জিনাতের গলায় রেডিও কলার পরানো আছে, তাই ফক্স হান্টিংয়ের মাধ্যমে তার খোঁজ শুরু হয়েছিল।
কিন্তু, সেই খোঁজ করতে গিয়ে অবাক হয়ে গেলেন রেডিও অপারেটরা! কেন? অম্বরীশবাবু ‘বর্তমান’কে জানিয়েছেন, বাঘটিকে চিহ্নিত করার জন্য আমরা প্রথম লোধাশুলির জঙ্গলে ফক্স হান্টিং করি। সেখানে দেখলাম, আমাদের ‘ইউএইচএফ’ কমার্শিয়াল স্পেকট্রামে কিছু লোকজন কথা বলছে! ভিন রাজ্যের ভাষা। কয়েকজন ওড়িশার বলে মনে হল। কিন্তু, আমরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই তারা চুপ হয়ে গেল! তারপর সিমলিপালের জঙ্গলের দিকে গিয়ে ফের ওই অচেনা কণ্ঠ পেলাম। তিনি বলেন, কিছু লাইসেন্সহীন রেডিও সেট পাওয়া যায়। কিন্তু, সেই ধরনের হ্যান্ডসেটের স্পেকট্রাম পৃথক। কিন্তু, এই অচেনা লোকজনগুলি কমার্শিয়াল স্পেকট্রাম ব্যবহার করছে। আমাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটররা কথা বললে নিজেদের পরিচয় জানিয়ে দেন সকলে। কিন্তু, এরা যে উল্টে পরিচয় লুকিয়েছে! তাই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাব আমরা। প্রয়োজনে, ওই তরঙ্গে গিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।