বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণীর সঙ্গে মাস দুয়েক আগে এক মহিলার পরিচয় হয়। মে মাসে সেই মহিলা ওই তরুণীকে জানায়, আইসিডিএসে সুপারভাইজার পদে তাঁর চাকরির বন্দোবস্ত করে দিতে পারে সে। তরুণী প্রথমে পাত্তা দেননি মহিলাকে। এরপর ওই মহিলা এই পদে নিজের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখালে আগ্রহী হন তরুণী। বিনিময়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে তাঁকে। এরপর স্পিড পোস্টে তাঁর নিয়োগের চিঠি আসে। পাঁচ মাস প্রশিক্ষণের পর নিয়োগ হবে বলে জানানো হয় তাঁকে।
অভিযোগপত্রে তরুণী জানিয়েছেন, ওই মহিলা কয়েকদিন পর এক মাঝবয়সি ব্যক্তিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসে। নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে আসা ওই ব্যক্তি নিজেকে আইসিডিএসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বলে পরিচয় দেয়। অভিযুক্ত মহিলা জানায়, আইসিডিএস প্রকল্পের জন্য ভেন্ডার লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগকারিণী আগ্রহ দেখালে তাঁকে গোডাউনে দেখাতে বলা হয়। গোডাউন দেখার পর সবুজ সঙ্কেত দিয়ে তারা বলে, চারজনের নামে লাইসেন্স দেওয়া হবে। এই বলে আরও ১২ লক্ষ টাকা নেয় তারা। ওই তরুণী তাঁর পরিচিতদের বিষয়টি জানালে তাঁরা লাইসেন্স নিতে আগ্রহী হন। এভাবেই ৩০ জনের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আইসিডিএসের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বলে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি কয়েকদিন পর আরও এক ব্যক্তিকে আইএএস অফিসার সাজিয়ে সামনে আনে। সে নাকি পিএম কিষাণ স্কিমে যুক্ত। বিভিন্ন সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে রান্না করার সরবরাহ করা হয় এই স্কিমে। এরজন্য যে মালপত্র লাগে, তার স্টকিস্টের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারে। এটি যে প্রতারকদের টোপ, বুঝতে পারেননি অভিযোগকারিণী। তিনি ৭৬ জনকে জোগাড় করেন। লাইসেন্স পাওয়ার আশায় সকলেই টাকা দেন। সব মিলিয়ে সাড়ে চার কোটি টাকা দেওয়া হয় প্রতারকদের। এরপর ভেন্ডার ও স্টকিস্টদের লাইসেন্স দেয় অভিযুক্তরা। তাতে সরকারি স্ট্যাম্প ও সিল ছিল। এই নথি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে অভিযোগকারিণী যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, নিয়োগপত্র থেকে লাইসেন্স, সবই জাল। এরপর তিনি অভিযোগ
করেন লালবাজারে। যে ফোন নম্বর থেকে অভিযুক্তরা যোগাযোগ করেছিল, তার সূত্র ধরেই প্রতারকদের খোঁজ চলছে।