বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পিছনের একটি মাটির বাড়িতে রাত ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণে বাড়ির কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে শুধু বাড়ির লোকজন আঁতকে উঠেছিলেন তাই নয়। প্রতিবেশীরাও চমকে উঠেছিলেন। পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীরা দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবক আর্তনাদ করছেন। দুই হাত দিয়ে রক্ত ঝরছে। জামা কাপড়েও পোড়া দাগ। পরে স্থানীয়দের একাংশ তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ওই মাটির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘরের মধ্যে একটি কাটা আঙুলও পড়েছিল। মেঝেতে রক্তের ছোপ লেগে ছিল। ওই বাড়ির লোকজন সেগুলি জলে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দেওয়ার চেষ্টা কবছিলেন।
বিস্ফোরণ হওয়া বাড়ির এক মহিলা বলেন, জোর শব্দ পেয়েই আমি আঁতকে উঠে ঘরের বাইরে চলে আসি। পরিবারের ওই সদস্যকে আমি ছোট থেকে মানুষ করেছি। এবছরই ওকে আলিগড় বিদ্যালয়ে ভর্তি করার জন্য পাঠানোর কথা ছিল। আমি নিজের চোখে দেখেছি ওর হাত রক্তে ভরে গিয়েছে। আমি দাঁড়াতে বললেও থামেনি। বাড়ি থেকে ছুটে চলে গেল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রতিবেশীরা ঘটনার কথা বড়ঞা থানায় জানান। পরে সেখানে বড়ঞা থানার পুলিস এসে পৌঁছয়। বড়ঞা থানার এক অফিসার বলেন, রাতের দিকে ওই গ্রামের একটি বাড়িতে কিছু ফাটার শব্দ পাওয়া গিয়েছে। পুলিস তদন্ত করে বিষয়টি দেখছে।
বড়ঞা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আজাদ মল্লিক বলেন, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই বাড়ির লোকজন তৃণমূল করে। ওরা ভোটের আগে সন্ত্রাস তৈরির জন্য বাড়িতে বোমা বানাচ্ছিল।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বড়ঞা উত্তর সভাপতি গোলাম মুর্শিদ বলেন, কে বোমা বাঁধছিল জানা নেই। তবে ওই বাড়ির লোকজন বরাবর কংগ্রেস করে, আমাদের দল করে না।