গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভালোভাবে যাচাই না করেই সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাওয়ায় বিপদে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। সচেতন হতে হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে কোতুলপুর, পাত্রসায়র ও সোনামুখীতে মোট সাতজন নাবালিকা স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। তাদের মধ্যে কেউ স্কুল, কেউ টিউশনি, কেউ ব্যাঙ্ক, কেউ বা বাজার যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। অভিভাবকরা প্রথমে আত্মীয়বাড়ি ও বন্ধুবান্ধবদের কাছে খোঁজ খবর নিলেও সন্ধান না পেয়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিটি ঘটনায় পুলিস তদন্তে নামে।
মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে নাবালিকাদের সন্ধান পায়। বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় পাত্রসায়র ও কোতুলপুর থেকে দুই অভিযুক্ত যুবককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম তনু মাঝি ও রাকেশ ঘোষ। তনুর বাড়ি বিষ্ণুপুরের হিংজুড়ি এলাকায়। তার বিরুদ্ধে পাত্রসায়রের বেতুর এলাকার নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। রাকেশের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা টাউন থানার তাতারপুরে। তার বিরুদ্ধে কোতুলপুরের দারাপুর এলাকার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও কোতুলপুরের দু’জন, পাত্রসায়রের একজন ও সোনামুখীর দু’জন অপহৃত নাবালিকাকে পুলিস উদ্ধার করেছে। ঘটনায় ধৃত দু’জনকে বুধবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।