গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সংগঠনের সদস্য অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা বলেন, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজসাথী থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এত প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। তাই আমরা বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতিনিধি সুজাতা মণ্ডলের হয়ে প্রচার করছি এবং তাঁর সমর্থনে দেওয়ালও লিখছি।
বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, শিক্ষকরা সম্মানীয় মানুষ। কিন্তু তাঁরা এখনও কেন্দ্রের হারে ডিএ পাচ্ছেন না। রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। বিষ্ণুপুরের অধিকাংশ শিক্ষক তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। তাঁরা মোদিজির ভরসায় আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে শিক্ষকরা তাঁদের অধিকার ফিরে পাবেন।
সিপিএম প্রার্থী শীতল কৈবর্ত্য বলেন, বাম আমলেই শিক্ষকদের বেতন বেড়েছে। তাঁরা অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষকরা মহার্ঘভাতা ঠিকমতো পাচ্ছেন না। এই সরকার গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই রসাতলে পাঠিয়ে দিয়েছে।
বিষ্ণুপুর শহরের কলেজ রোডে গিয়ে দেখা গেল একদল শিক্ষক শিক্ষিকা রং তুলি নিয়ে দেওয়াল লিখছেন। প্রত্যেকেই বিভিন্ন হাইস্কুলে চাকরি করেন। অবসর সময়ে তাঁরা একজোট হয়ে কেউ দেওয়াল চুন করছেন। কেউ রং মেশাচ্ছেন। কেউ ঘাসের উপর জোড়াফুলের ছবি আঁকছেন। কেউ বা সুজাতা মণ্ডলের নাম লিখছেন। তাঁরা বলেন, আমরা বাম আমলে শিক্ষকদের অবস্থা দেখেছি। লালপার্টির ঝান্ডা ধরলে তবেই তিনি কাছের স্কুলে পোস্টিং পেতেন। আমরা মাসের মধ্যে যখন তখন বেতন পেতাম। অবসরের পর প্রাপ্য পেতে এ অফিস ও অফিস ঘুরে ঘুরে জুতোর সুখতলা খয়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উৎসশ্রী পোর্টাল খুলেছেন। সেখানে কোনও পার্টির চিহ্ন থাকে না। এখন আমরা মাস পয়লা বেতন পাই। অবসরের পরের দিন থেকে পেনশন চালু হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত ভেবেছেন। আর তাঁর দলের জন্য আমরা এইটুকু পরিশ্রম করব না?