গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দেশ, বিদেশের সাঁওতাল আদিবাসীরা তিন দিনের এই মেলায় নদীঘাটে এসে পূর্বপুরুষদের মঙ্গল কামনায় অস্থি বিসর্জন ও পুজো-অর্চনা করেন। বর্তমানে এই ঘাট সাঁওতাল আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসী পরিবারের কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারের একজন মৃতের অস্থি বছর ভর সংরক্ষণ করে রাখেন। চৈত্র মাসের এই মেলার সময় সেই অস্থি বিসর্জন দেওয়া হয়। তিনদিনের এই মেলায় বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ত্রিপুরা, অসম, দার্জিলিং এমনকী বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ অস্থি বিসর্জন ও পূর্ব পুরুষদের মঙ্গলকামনায় এখানে আসেন।
মেলা কমিটির সম্পাদক তথা পুরুলিয়া সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বিভাগের কর্মী বেল টুডু বলেন, বর্তমানে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের তরফে জায়গাটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিন দিনের মেলায় প্রায় ৭০হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। বর্তমানে তেলকুপি বারণী ঘাটে পানীয় জল, মেলায় আসা মানুষদের থাকার ব্যবস্থা, রান্না ঘরের মতো একাধিক সমস্যা রয়েছে। বিষয়গুলি নিয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি।