গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই দু’টি অপারেশন হয়। তারমধ্যে প্রথমটি গোবিন্দ দাসের। পলাশীপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ দাস প্রায় এক মাস আগে থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসেন। তিনি হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক অভিষেক দেকে দেখান। চিকিৎসক তাঁর বাঁদিকের অণ্ডকোষে একটি টিউমারের হদিশ পান। ধীরে ধীরে সেই জায়গাটি খারাপ হতে শুরু করে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। এই অবস্থায় অভিষেক দে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর রোগীকে বাঁচাতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই অপারেশন করার যে যন্ত্রপাতি দরকার তা হাসপাতালে ছিল না। ডাক্তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেই সব যন্ত্রপাতি এনে অপারেশন করেন মঙ্গলবার বিকেলে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের উপরে এই অপারেশন করেন চিকিৎসক। অভিষেক দে বলেন, এই অপারেশনের নাম হাইইনগুইনাল অর্কিডেকট্মি এন্ড ইনগুইনাল লিম্ফনোড ক্লিয়ারেন্স। অপারেশন সফল হয়েছে সেই সঙ্গে রোগী আপাতত সুস্থ আছেন।
এর পরেই আরেকটি জটিল অপারেশন করেন চিকিৎসক অভিষেক দে। হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় আহত হন তেহট্ট থানার প্রতাপনগরের বাসিন্দা সুকুরুদ্দিন শেখ। তাঁর ডান হাতের কব্জিতে চোট লাগে। দুর্ঘটনা হয় বেশ কিছুদিন আগে। দিন কয়েক আগে তাঁর হাতের সমস্যা শুরু হয়। তিনি নাজিরপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে যান। সেখান থেকে তাঁকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে শল্য চিকিৎসক অভিষেক দের কাছে রেফার করা হয়। চিকিৎসক তাঁর হাত দেখে এক্স রে করার পরামর্শ দেন। এক্স রে করে দেখা যায়, কব্জির উপরে প্রায় দশ সেন্টিমিটার ক্ষত। আর ভিতরে বেশ কিছু কাঁচের টুকরো আছে। চিকিৎসক দেরি না করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই অপারেশন করে কাঁচের টুকরো বের করেন চিকিৎসক। রোগী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও সুস্থ আছেন। একই দিনে দু’টি জটিল অপারেশন সফল করে রোগীর পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন চিকিৎসকরা।