গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে পাওয়া যায়নি। এসবিএসটিসি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডানদিকে গিয়ে উল্টোদিক থেকে আসা বাইকটিকে ধাক্কা মারে বলে প্রাথমিক অনুমান। বাসের চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই অবশ্য জানাচ্ছেন, বাইক নিয়ে রাস্তার ধারে ওই দম্পতি দাঁড়িয়ে ছিলেন। সুধাময়বাবু প্রস্রাব করছিলেন। সেই সময় বাসটি বেপারোয়া গতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান দিকে গিয়ে বাইক আরোহীদের চাপা দেয়। এরপর বাসটি রাস্তার ধারে নেমে গিয়ে কাত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার জেরে দুমড়ে মুচড়ে যায় বাইকটি। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। পুলিস গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস ও বাইকটি উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর বাসটির ফিটনেস নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। সামাজিক মাধ্যমেও তা নিয়ে অনেকে সরব হয়েছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বিশ্বনাথ সেনাপতি বলেন, স্টেট বাসটি দুর্গাপুর থেকে ঝাড়গ্রাম যাচ্ছিল। রাস্তার ধারে ওই দম্পতি বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বাসটির ধাক্কায় তাজা দু’টি প্রাণ চলে গেল। রাস্তার বেহাল দশার জন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কয়েক মাস ধরে রাজ্য সড়ক সংস্কারের জন্য খোঁড়া হয়েছে। কিন্তু, কাজের গতি নেই। পুলিস অবশ্য জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের রাস্তা খোঁড়া নেই। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুধাময়বাবু সিমলাপালে একটি গ্রিলের দোকান চালাতেন। ডলিদেবী গৃহবধূ। সদ্য তাঁদের বিয়ে হয়। দিন দু’য়েক আগে সুধাময় স্ত্রীকে নিয়ে ঝাড়খণ্ডে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। দোল খেলে এদিন সস্ত্রীক ফিরছিলেন। মাঝপথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সুধাময়ের এক মামা শিবপ্রসাদ কর্মকার বলেন, সুধাময় আমার ভাগ্নে হয়। মা-বাবার মৃত্যুর পর ও আমাদের সঙ্গে সিমলাপালে থাকত। মাস দেড়েক আগে বিয়ে দিয়েছিলাম। এদিন শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার সময় শিলদায় দাঁড়িয়ে সুধাময় বাড়িতে শেষ ফোন করেছিল। দিদিমার সঙ্গে কথা বলেছিল। ওরা বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই সময়ই বাসটি ধাক্কা মারে বলে শুনেছি। এভাবে ভাগ্নেকে হারাতে হবে ভাবতেই পারছি না।