উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
সোনিয়া গান্ধীর পরিকল্পনা মতো সরকারকে চেপে ধরতে কাশ্মীর পরিস্থিতি, মুর্শিদাবাদের বাঙালি শ্রমিক হত্যা, ফারুক আবদুল্লাকে আটকে রাখা, পি চিদম্বরমকে জেলবন্দি করা, মনমোহন সিং ও গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা থেকে এসপিজি সরিয়ে নেওয়ার মতো একগুচ্ছ ইস্যুতে প্রতিবাদী সওয়াল চড়ান লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। দেশের এমপিদের কাশ্মীরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি বিরোধী নেতাদের শ্রীনগর থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অথচ একজন কিরায়া কা টাট্টুকে দিয়ে কেন বিদেশি এমপিদের কাশ্মীর ঘোরানো হচ্ছে? অধীরবাবু প্রশ্ন তুলতেই পাশে বসা সোনিয়া গান্ধীকে বলতে শোনা যায়, ফর্জি। অর্থাৎ নকল পরিস্থিতি দেখানোর চেষ্টা করছে মোদি সরকার।
কাশ্মীরকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুললেন অধীরবাবু। যদিও তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। তখন সভায় উপস্থিত বিজেপি এমপির উদ্দেশেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অধীরবাবু গলা চড়ালেন। বললেন, ক্ষমতা থাকলে একবার কাশ্মীর গিয়ে দেখান দেখি। এটা তো সংসদের অপমান। ভারতের অপমান। দেশের লোক ব্রাত্য। আর সাজানো ব্যবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ইউরোপের এমপিরা।
সরকারকে তাঁর প্রশ্ন, আপনারা বলছেন, কাশ্মীর দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়। অথচ নিজেরাই সেটাকে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কেন পরিণত করছেন? সংসদে এলেও প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন লোকসভার কক্ষে আসেননি? প্রশ্ন তোলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর সুরেই ডিএমকের টি আর বালু, ন্যাশনাল কনফারেন্সের এমপি হাসনৈন মাসুদি, তৃণমূলের সৌগত রায় দাবি করেন, অমিত শাহকে সভায় ডেকে আনা হোক। এবং তিনি বিবৃতি দিয়ে জানান, কেন এমপি হওয়া সত্ত্বেও ফারুক আবদুল্লাকে কাশ্মীরে আটকে রাখা হয়েছে? সরকার কোনও সাড়া শব্দ না করায় প্রতিবাদে শিবসেনা সহ ওয়াক আউট করল বিরোধীরা। যদিও তাতে শামিল হয়নি তৃণমূল।