পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
নিউটাউনে জৈবহাটের উল্টো দিকেই বিশ্ববাংলা সরণির পাশে রয়েছে একটি পরিত্যক্ত বহুতল। নির্মীয়মাণ এই বহুতলে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ। বুধবার সকালে ওই বহুতলের নীচে অভিরূপের দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তার কিনারা এখনও হয়নি। বৃহস্পতিবার আর জি করে ভিডিওগ্রাফি সহ দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। বর্ধমান শহরের ভাঙাকুঠিতে অভিরূপের বাড়ি। বি-টেক পাশ করে প্রথমে আইটিতে চাকরি করছিলেন। মাস আটেক আগে সল্টলেকের করুণাময়ীতে একটি ব্যাঙ্কে চাকরিতে যোগ দেন। ওইদিন সকালে অভিরূপকে ফোনে না পেয়ে বর্ধমান সদর থানার দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁর পরিবার। তারপর বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা থেকে তাঁরা শোনেন, দেহ উদ্ধার অভিরূপের। একথা শুনেই অবাক হয়ে যান সকলে! হঠাৎ কী এমন হল?
অবাক হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বৃহস্পতিবার অভিরূপের বাবা অরূপবাবু বলেন, উইকএন্ডে অভিরূপ বর্ধমানের বাড়িতে এসেছিল। ও বেড়াতে খুব ভালোবাসত। আমরা একসঙ্গে বসে লাদাখ বেড়ানোর প্ল্যান করেছিলাম। ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ও একাই যেত। সোমবার সল্টলেকে ফিরে আসে। নয়াপট্টিতে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। মঙ্গলবার অফিস থেকে ফিরে রাতে আমাকে ফোন করেছিল। বলল, বাবা বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছি। একেবারে স্বাভাবিক ছিল আমার ছেলে। আমরা নিশ্চিত, ওকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। আমরা চাই, দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিস।
বিধাননগরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার মানব সিংলা (নিউটাউন) বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।