পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
নেতাজিনগরের এই পুকুরটি ব্যক্তিগত মালিকানার। গত তিন দশক ধরে সেটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়েছে বলে অভিযোগ। রাবিশ ও আবর্জনা জমে জমে হারিয়ে গিয়েছিল জলাশয়টি। সম্প্রতি এনিয়ে পুরসভায় অভিযোগ জানান স্থানীয় ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পুরসভার সামাজিক সুরক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ভিত্তিতে মঙ্গলবার স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করে পুর-কর্তৃপক্ষ। তারপর বুধবার থেকে জেসিবি দিয়ে ভরাট হওয়া জলাশয়ের পুরনো চেহারা চেহারা ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পুর কর্তৃপক্ষ, সবারই সংশয় ছিল, আবর্জনা তুললে আদৌ সেখানে জল মিলবে তো? সেই সংশয় এদিনই কেটে গিয়েছে। এখনও জল রয়েছে সেখানে। পুরসভার এই কাজে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। সুমিত ধর নামে এক প্রবীণ বাসিন্দার কথায়, ‘১৯৮০ সালের আগে এই পুকুরে জল ছিল। তারপর ধীরে ধীরে এটি বুজে যায়। এলাকায় জমির দাম বেড়েছে। সে কথা ভেবেই সম্ভবত পুকুরের মালিকপক্ষও এটি ভরাট করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এক সময় সবাই এখানেই স্নান করত। মাছও ধরা হতো। সে সব এখন অতীত। তবে এই জঞ্জাল, আগাছার জঙ্গল সরিয়ে যদি সত্যিই আগের মতো পুকুর ফিরে পাওয়া যায়, তাহলে আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি হব।’ অপর এক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পাশেই এক জায়গায় আগুন লেগেছিল। কাছেপিঠে জলের উৎস না থাকায় দমকলকে সেই আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এই পুকুর থাকলে এতটা সমস্যা হতো না।’ মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কলকাতাকে বাসযোগ্য করতে গেলে পরিবেশের মানোন্নয়ন জরুরি। গাছ এবং জলাশয়, দু’টোই এয়ার কোয়ালিটি ভালো রাখে। পুকুর বাঁচাতেই হবে। তাই আমরা একটি তালিকা তৈরি করেছি। সেই অনুযায়ী জলাশয় পুনরুদ্ধার করা হবে।’ নাগরিক সমাজকেও সচেতন হওয়ার আর্জি জানান মেয়র।