পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই অবৈধ নির্মাণগুলি ভাঙতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে পুর কর্তৃপক্ষ। বেআইনি নির্মাণ হওয়া সত্ত্বেও কেন মিউটেশন করা হয়েছে? কেন এতদিন ধরে কর নেওয়া হয়েছে? এইসব প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছেন প্রোমোটাররা। কেউ কেউ তা নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এদিকে, ওইসব নির্মাণের আবাসিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, পরে বৈধ করে নেওয়া হবে, প্রোমোটারের এই আশ্বাস পাওয়ার পর কেউ কেউ ফ্ল্যাট কিনেছেন। আবার কেউ কেউ আবাসনের মিউটেশন রয়েছে দেখেই ভরসা পেয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রোমোটাররা মিউটেশনের গাজর ঝুলিয়ে বিক্রি করেছেন ফ্ল্যাট। তিন অথবা চারতলার অনুমোদন নিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন পাঁচ অথবা ছ’তলার ফ্ল্যাট। পুরসভার পাশাপাশি ফ্ল্যাট কেনার আগে সাধারণ মানুষও যাতে সচেতন হন, তার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ।
বেলেপোল মোড়ে বড় জায়ান্ট স্ক্রিনে সম্প্রতি চালানো হচ্ছে একটি বিশেষ ভিডিও। তাতে বড় বড় করে লেখা থাকছে, কোনও ফ্ল্যাট কেনার আগে পুরসভা অথবা নগরোন্নয়ন দপ্তরের ওয়েবসাইটে বৈধতা যাচাই করুন। মিউটেশন থাকা মানেই সেই আবাসন বৈধ এমন নিশ্চয়তা নেই। অনুমোদন পাওয়া বৈধ প্ল্যান রয়েছে কি না, দেখুন। এ বিষয়ে একটি ওয়েবসাইটও দেওয়া হচ্ছে, হাওড়া পুরসভা এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে নাগরিকরা বৈধতা যাচাই করতে পারবেন www.udma.wb.gov.in কিংবা www.myhmc.in এর মাধ্যমে। তবে শুধু বেলেপোল নয়, মন্দিরতলা, বাঁধাঘাট এবং বেলগাছিয়ার জায়ান্ট স্ক্রিনেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই সচেতনতামূলক প্রচার সারাদিন ধরে চালানো হবে।
এ নিয়ে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ওয়েবসাইট দেখে বুঝতে অসুবিধা হলে সরাসরি পুরসভায় এসেও জানতে পারবেন সাধারণ মানুষ। মিউটেশন আর বৈধ প্ল্যান সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। আবাসনের বৈধতা প্রমাণ করবে একমাত্র পুরসভার অনুমোদিত প্ল্যান। আগামী দিনে এমনও হতে পারে যে, অবৈধ নির্মাণকে আমরা মিউটেশন নাও দিতে পারি। ভাঙা তো হবেই। তার আগে সাধারণ মানুষকেও কেনার আগে সচেতন হতে হবে। অন্তত কিছু মানুষ সচেতন হলেই অনেক প্রোমোটার বেআইনি নির্মাণ তৈরির সাহস পাবেন না।