Bartaman Patrika
 

মেজাজটাই আসল রাজা... 

 করোনা আবহে এখন সকলের মনেই আতঙ্ক। মারণ ভাইরাস ঘরবন্দি করে ফেলেছে গোটা বিশ্বকে। প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত শিল্প। ট্রেন বা বিমান পরিষেবা কবে আবার স্বাভাবিক হবে তার নিশ্চয়তা নেই। তবু হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকলে তো চলবে না। মাস্ক-স্যানিটাইজার সহযোগে এই ‘নিউ নর্মাল’ দুনিয়ায় একটু প্রকৃতির শ্বাস নেওয়ার জন্য কি কাছে-পিঠে বেরিয়ে পড়া যায় না? বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যশালী রাজবাড়ির আতিথেয়তায় কয়েকটা দিন কাটিয়ে এলে মন্দ কী? কোথায়, কেমন সেসব রাজবাড়ির অন্দরমহল? রাজঅতিথি হতে পকেটে রেস্তই বা কতটা প্রয়োজন? করোনা পরিস্থিতিতে জায়গাগুলো কতটা নিরাপদ? সবদিক খোঁজখবর নিয়ে লিখেছেন বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী।

ইতিহাসের গন্ধ মাখা রাজপ্রাসাদগুলিকে অতিথিশালায় রূপান্তরিত করে তাক  লাগিয়ে দিয়েছে রাজস্থান। গুজরাত বা মধ্যপ্রদেশও অনেকটাই সফল এই প্রচেষ্টায়। পর্যটনপ্রেমী বাঙালি সেসব জায়গায় অবসর কাটিয়ে নির্ভেজাল আনন্দ পান। অথচ এই বাংলার সীমানার মধ্যেই এমন বেশ কিছু রাজবাড়ি, জমিদারবাড়ি বা ঐতিহ্যশালী ভবন আছে, যেগুলিকে অতিথিদের বসবাসের জন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে অফুরন্ত আরাম। আশ্চর্য দেখনদারি। আর তাক লাগানো লাক্সারি। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও কেউ কেউ দরজা খুলে রেখেছে অতিথিদের জন্য। মেনে চলছে সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা। কেউ বা অপেক্ষায় আছে, করোনার গ্রাস পেরিয়ে মুক্ত হবে বাংলা।
যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাওয়ালি রাজবাড়ি। কলকাতা থেকে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় ‘দ্য রাজবাড়ি বাওয়ালি’তে। ৩০০ বছরের পুরনো বাড়ির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে পুকুর, আশ্রম সহ বিশাল প্রান্তর। ক্লাসিক হেরিটেজ, ডাকবাংলো, জমিদারি স্যুইট, রয়্যাল স্যুইট, নতুন বাড়ি প্রভৃতি নামে থাকার ব্যবস্থা রাজকীয়। অথচ সর্বত্র পাঁচতারা আধুনিকতার ছোঁয়া। জিভে জল আনা হরেক খাবারের পাশাপাশি এখানে পাওয়া যায় পোস্ত বা সরষে বাটা দেওয়া বাঙালির চিরন্তনী পদও। করোনা সংক্রমণকালেও দরজা খোলা বাওয়ালির অতিথিশালার। এখানকার কর্ণধার অজয় রাওলার কথায়, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব রকমের নির্দেশিকা মেনে আমরা অতিথিদের রাখছি। কোনও জায়গাই সেন্ট্রালি এয়ারকন্ডিশনড নয়। এমনভাবে থাকার জায়গাগুলি ছড়ানো, যাতে সামাজিক দূরত্ব মানা যায় সর্বত্র। এমনকী, রেস্তরাঁতেও সব অতিথিদের একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার সুযোগ দিচ্ছি না আমরা।’ অতিথিরা চলে গেলে, গোটা একটা দিন খালি রাখা হচ্ছে ঘর স্যানিটাইজ করার জন্য। প্রতিটি কর্মীকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। এই রাজবাড়িতে জলখাবার নিয়ে ঘরভাড়া শুরু দৈনিক ৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে। কর অতিরিক্ত। তবে অজয়বাবু বলছেন, ‘যাঁরা একটু নিরিবিলিতে দিন দশেক বা সাতেকের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা এই রাজবাড়ি। আমরা তার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ করে দিতেও প্রস্তুত।’
কথা হচ্ছিল বালাখানা এস্টেটের কর্ণধার রণধীর পালচৌধুরীর সঙ্গে। নদীয়ার মহেশগঞ্জের যে পৈত্রিক বাড়িটিকে তাঁরা হেরিটেজ হোম স্টে করেছেন, সেটি আসলে ছিল এক নীলকর সাহেবের বাড়ি, যিনি জন্মসূত্রে ছিলেন একজন ইতালিয়ান। ১৮৮০ সালে রণধীরবাবুর ঠাকুরদা এই বাড়িটি কিনে নেন। এখন আধুনিক সাজে সাজানো হলেও, বাড়িটির মূল কাঠামোয় কোনও রদবদল হয়নি। এস্টেটের বিঘের পর বিঘে জমিতে খাঁটি গ্রামবাংলার গন্ধ। এখানে যাঁরা আসেন, তাঁরা অন্তত আরও একবার আসার ইচ্ছা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বিদেশিরাও এখানে এলে বাংলার আসল রূপ চিনতে পারেন। নদীয়ায় এখন বিক্ষিপ্তভাবে লকডাউনের সমস্যা চলছে। তবু অনেকেই এর মধ্যেও আসার জন্য খোঁজখবর করছেন, জানালেন রণধীরবাবু। এখানে থাকার খরচ শুরু দিন পিছু পাঁচ হাজার টাকা থেকে। লাঞ্চ বা ডিনারের খরচ শুরু ৪০০ টাকা থেকে। কিন্তু সে স্বাদের মাহাত্ম্য আলাদা। গরমকালে বন্ধ থাকে এস্টেট। জুলাই থেকে খোলে। দোল পর্যন্ত অতিথিরা আসা যাওয়া করেন।
মেমারির কাছে আমাদপুরে রয়েছে আরও একটি হেরিটেজ হোম স্টে। যদিও করোনার কারণে আমাদপুর হেরিটেজ হোম স্টে’তে এখন অতিথিদের আসা যাওয়া বন্ধ, তবে খুব তাড়াতাড়ি আবারও খুলে দেওয়া হবে দরজা, জানালেন এখানকার কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ আগস্ট বা ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা অতিথিদের বুকিং নেওয়া শুরু করলেও, ৪০ শতাংশ ঘর খালি রাখবেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে আর যা যা করতে হয়, সেগুলির পাশাপাশি কঠোরভাবে এই নীতি মানবেন তাঁরা। এমনকী, খাওয়াদাওয়ার সময়ও যাতে একাধিক পরিবার একসঙ্গে বসে না খেতে পারে, তার জন্য বদলে দেওয়া হবে সময়ও। কিন্তু এই বিপর্যয়ের সময়টুকু কাটিয়ে উঠলে, সারা বছরই এখানে প্রকৃতির নানা স্বাদ পান অতিথিরা। বাঘ বাড়ি, মুখার্জি বাড়ি, দুর্গাবাড়ি, সাধু বাড়ি আশ্রম, রাধামাধবের মন্দির, আনন্দময়ী কালীবাড়ি, বড় কালী, খ্যাপাকালী, মেজো কালী, টেরাকোটার শিবমন্দির— সব মিলিয়ে চিরন্তনী বাংলার আশ্চর্য স্বাদ এখানে। সঙ্গে আটপৌরে আতিথেয়তা তো রইলই।
একসময় যে বাড়িতে এসে দিনের পর দিন কাটিয়ে সাহিত্যের রসদ সংগ্রহ করতেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সেই ইটাচুনা রাজবাড়িতে এই করোনা সংক্রমণেও অতিথি আনাগোনা অব্যাহত। এখানকার অন্যতম কর্তা ধ্রুব কুণ্ডুর কথায়, ‘হুগলির এই রাজবাড়ির আশপাশে তো কোনও সমুদ্র বা পাহাড় নেই। তবুও এখানে কখনও গেস্ট আসায় ছেদ পড়ে না। আমরাই ভাবতাম, কী এমন রহস্য আছে এখানে? দেখা গিয়েছে, এখানকার অতিথিরা তিনটি বিষয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। প্রথমত, এখানকার খাঁটি বাঙালি খাবার। দ্বিতীয়ত, এখানকার কর্মীদের আতিথেয়তা। তৃতীয়ত, গোটা রাজবাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন। করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিকে আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই অতিথিদের আসার অনুমতি দিইনি। কিন্তু সরকার সেই সুযোগ ফের করে দেওয়ায়, আবারও বিপুল সাড়া পেতে শুরু করেছি। তবে সাবধানতার খাতিরেই কিন্তু কম বুকিং নিচ্ছি।’ ইটাচুনা রাজবাড়িতে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে থাকা যায়। খাওয়ার খরচ তিন বেলা মিলিয়ে হাজার খানেক টাকা। কিন্তু সেখানে অফুরান আয়োজন।
বাংলার রাজবাড়িগুলির মধ্যে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি অন্যতম। এই বিরাট এস্টেটের একটি অংশ রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে পর্যটন শিল্পের জন্য। মূল রাজবাড়ি এখনও রাজাদের হাতে। সেখানে হেরিটেজ ট্যুরের জন্য খোলা থাকে দরজা। রাজবাড়ির অন্যতম কর্তা বিক্রমাদিত্য মল্লদেবের কথায়, ‘এই করোনা সঙ্কটের মধ্যেও যেমন প্রচুর মানুষ খোঁজ করছেন আসার জন্য, তেমন আসছেনও। জঙ্গল, পাহাড়, নদীর এমন সহাবস্থান আর কোথায়?’ শুধু যে ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ির আতিথেয়তার জন্যই এখানে অতিথিরা আসেন, তা নয়। এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক রাজবাড়ি আছে, যেগুলি দর্শনীয়। সব মিলিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা এমন রাজকীয় আয়োজন দুর্লভই বলা চলে। থাকার খরচও নাকি খুব বেশি নয়।
মুর্শিদাবাদের বারিকোঠি প্রাসাদে আছে হেরিটেজ স্যুইট, র‌য়্যাল হেরিটেজ স্যুইট ও মহারাজা হেরিটেজ স্যুইট। কিন্তু এই প্রাসাদের আতিথেয়তায় সেটাই বড় কথা নয়। দেড়শো বছরের পুরনো খাট, আড়াইশো বছরের পুরনো আসবাব হোক বা সুদূর বিস্তৃত আমবাগান— ইতিহাস এখানে এখনও সর্বত্র বিরাজমান। মুর্শিদাবাদের কাশেমবাজার রাজবাড়িতে ভোলা ময়রা ও অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির যে আসর বসত, সেই ইতিহাস যেন এখনও কথা বলে এখানকার অন্দরমহলে। এই রাজবাড়িও এখন পর্যটকদের প্রিয় ঠিকানা।
নবাব আলিবর্দি খাঁ একসময় ডেনিশদের (ডেনমার্কের অধিবাসী) বাংলায় বসবাস ও ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় শ্রীরামপুরে গড়ে ওঠে ডেনিশদের ভিটে। এমনই এক ঐতিহ্যবাহী বাড়িকে সংস্কার করে গড়ে উঠেছে ডেনমার্ক টাভার্ন। শুধু যে নতুন প্রজন্মই এখানকার আতিথেয়তায় মজেছে, তা নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আপন করে নিয়েছেন ইতিহাসের গন্ধ মাখা এই বাড়িটিকে।
হেরিটেজ প্রপার্টিগুলিকে পর্যটনের মানচিত্রে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রক। ইন্ডিয়া ট্যুরিজমের রিজিওনাল ডিরেক্টর (ইস্ট) সাগ্নিক চৌধুরীর কথায়, ‘আমরা চাই, বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাড়ি, যেগুলি এখন পর্যটকদের থাকার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি দেশের মানুষের কাছেও সমাদর পাক। কারণ বাংলার আতিথেয়তা বিশ্ববন্দিত। তার পাশাপাশি ইতিহাসকে আঁকড়ে দিনযাপন করার অনুভূতিই আলাদা। সেই সুযোগকে আরও প্রসারিত করতে বদ্ধপরিকর পর্যটন মন্ত্রকও।’
09th  August, 2020
রোপওয়েতে জুড়ছে এলিফ্যান্টা 

 দেশের দীর্ঘতম রোপওয়ে হতে চলেছে মুম্বই থেকে এলিফ্যান্টা দ্বীপের যোগাযোগ। সমুদ্রের উপর দিয়ে দীর্ঘ ৮ কিমি পথ পেরিয়ে পৌঁছনো যাবে এলিফ্যান্টা দ্বীপের গুহা মন্দিরে। বিশদ

06th  September, 2020
আবার ফুলের উপত্যকায় 

 অতিমারীর আবহেই উত্তরাখণ্ড পর্যটন দপ্তর বিশ্ব ঐতিহ্যের ফুলের উপত্যকা (ভ্যালি অব ফ্লাওয়ারস) খুলে দিয়েছে পর্যটকদের জন্য। বিশদ

06th  September, 2020
দরজা খুলছে থাইল্যান্ড 

 পর্যটনের স্বর্গরাজ্য থাইল্যান্ড। কিন্তু করোনার জেরে বন্ধ রয়েছে এদেশের ঢোকার পথ। এবার বিদেশি পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে এই দেশও। বিশদ

06th  September, 2020
নির্জনের চুপকথা 

দিগারডি যাওয়ার পথে বাঁশিটাঁড়ে এসে গাড়ি থামিয়ে এক পশলা জিরেন নেওয়া আমাদের বরাবরের সিলেবাসে। কারণটা হল সড়কটা এখান থেকে অনেকটা গড়ানে নেমে এক ঝাঁপে ভুচুণ্ডি পাহাড়ের পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। বিশদ

06th  September, 2020
প্রকৃতির মাঝে, পাহাড়ের কোলে 

কোভিড নাইন্টিন বিনোদনপ্রিয় বাঙালির দিনগুলোকেই আলুনি করে দিয়েছে। সিনেমা হল বন্ধ। করোনার জন্য ঘোরার প্ল্যানও বিশ বাঁও জলে। বদলে মাস্ক, স্যানিটাইজার, কন্টেইনমেন্ট জোন, হটস্পট শব্দগুলো সারাক্ষণ কান পচিয়ে দিল। লাগাতার পাঁচমাস ঘরে আর কাহাতক বসে থাকা যায়। নিয়মবিধির মধ্যে থেকে অনেকেই চাইছেন ছোট্ট ট্যুরে যদি কয়েকটা দিন প্রাণভরে শ্বাস নিয়ে আসা যায়। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এমনই কয়েকটি হটস্পটের সন্ধান দিচ্ছেন বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী।  
বিশদ

06th  September, 2020
লাদাখের অচেনা গ্রামে 

করোনা ভাইরাস অতিমারীর ধাক্কায় আজ বিশ্বজোড়া মানুষ গৃহবন্দি। যাঁদের পায়ের তলায় সরষে, তাঁদের কাছে এই বন্দিদশা আরও কষ্টের। দেশ-বিদেশের প্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিও গত কয়েক মাস ধরে খাঁ খাঁ করছে। সারা দুনিয়া আজ সুদিনের অপেক্ষায় বসে রয়েছে।
বিশদ

09th  August, 2020
সুন্দরী ছিবো 

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী: দার্জিলিং থেকে মাত্র ৬ কিমি দূরে এক অসামান্য পার্বত্য সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান ছিবো। এখানকার পাহাড়ের গায়ে গজিয়ে ওঠা বাড়িঘর দেখলে মনে হবে কাঠের বাক্স সাজানো রয়েছে পাহাড়ের ঢালে।   বিশদ

15th  March, 2020
বারবার সা ম থা র 

নবনীতা ভট্টাচার্য: গুহার সামনে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম। ঢালু জমি থেকে অন্ধকারে ঢুকে গিয়েছে গুহার মুখ। মরচে ধরা শুকনো পাতায় ঢাকা শুরুর পথ। হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে গিয়ে বকুনি খেলাম।  বিশদ

15th  March, 2020
গ্রামীণ সংস্কৃতির নিদর্শন
রাজস্থানের শিল্পগ্রাম

 অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়: রাজস্থানের উদয়পুর শহরের একপ্রান্তে রয়েছে আরাবল্লী পর্বতের সীমারেখা। সেই পাহাড়ের পাদদেশেই ৭০ একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পশ্চিম ভারতের গ্রামীণ শিল্প-সংস্কৃতির অপূর্ব নিদর্শন সমৃদ্ধ এথনিক ভিলেজ ‘শিল্পগ্রাম’। বিশদ

01st  March, 2020
  ভ্রমণ মেলার আকর্ষণ ছিল কাশ্মীর

 সম্প্রতি ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে হয়ে গেল তিন দিনের ভ্রমণ মেলা— ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার সামার। দ্বিতীয় বছরের এই ভ্রমণ মেলায় প্রধান আকর্ষণ ছিল জম্মু-কাশ্মীরের স্টল। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে পর্যটন ব্যবসা ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। বিশদ

01st  March, 2020
মানালিতে ইগলু  

বরফে ঢাকা মানালিতে এবার অন্যতম আকর্ষণ ইগলু হোটেল। এই শীতে যাঁরা মানালি যাবেন, তাঁরা নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে পারেন। নিজেদের এস্কিমো ভেবে থাকতে পারেন ইগলুতে। স্কি ড্রাইভাররা নিজেদের থাকার জন্য এই ইগলুগুলি তৈরি করেন বরফ দিয়ে। পর্যটকদের যদি ইগলুতে থাকার সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেই ভাবনাতেই এই ইগলু হোটেলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।  
বিশদ

16th  February, 2020
হীরক রাজার দেশে 

পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর সাব-ডিভিশনের অন্তর্গত নান্দুয়াড়া গ্রামের জয়চণ্ডী পাহাড়। আদ্রা জংশন স্টেশন থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই অপূর্ব সুন্দর পাহাড়। প্রায় ৪৫০টি সিঁড়ি কষ্ট করে বেয়ে পাহাড়ের উপর উঠতে হয়। উপরে রয়েছে জয়চণ্ডী মাতার মন্দির ও বজরঙ্গবলীজির মন্দির। 
বিশদ

16th  February, 2020
গ্যারান্টেড ডিপারচার পরিষেবা আসছে 

শুভজিৎ ঘোষ: বিগত কয়েক বছরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্পে ভারত খুবই উন্নতি করেছে। আর এই উন্নত বাজারকে মাথায় রেখেই পর্যটন সংস্থা ‘এসওটিসি’ ভারতে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে চাইছে। প্রসঙ্গত, এই বছর সংস্থার ৭১তম বর্ষও বটে।  
বিশদ

16th  February, 2020
ভালো থেকো চুইখিম 

অজন্তা সিনহা: সদ্য চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। ভিলেজ ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করছেন এমন একজনের কাছে খবর পেলাম চুইখিমের। এবারের ট্রিপে আমার সঙ্গী আরও তিন কর্মব্যস্ত তরুণী। তাঁরা থাকেন কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বই। তিন শহরের মহিলা ব্রিগেড নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে চললাম চুইখিম।  
বিশদ

16th  February, 2020

Pages: 12345

একনজরে
ফি-বছর ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে পরিনত হয় দমদম ও দক্ষিন দমদম পুরসভার বিস্তীর্ন এলাকা। তাই মরসুমের শুরু থেকেই এবার সতর্ক পা ফেলতে চাইছে দমদম। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১১১২: ইতিহাসের এই দিনে চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন
১৫১৯: কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মৃত্যু
১৮৮৩:  শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে কলকাতার কাশীশ্বর মিত্রের নন্দনবাগান বাড়িতে
১৯০৮: বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যু
১৯২১: চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৯: ভারতের প্রথম বিজ্ঞান সংগ্রহশালা, বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৬৯: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার জন্ম
১৯৭৫: ইংরেজ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের জন্ম
২০০৮: মায়ানমারে ‘নার্গিস’ ঝড়ে মৃত্যু অন্তত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষের
২০১১: অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে নিহত আল কায়দার জঙ্গি ওসামা বিন লাদেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2024

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: রাজস্থানকে ১ রানে হারাল হায়দরাবাদ

11:37:08 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট হেটমার, রাজস্থান ১৮১/৫(১৭.৪ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:18:32 PM

আইপিএল: ৭৭ রানে আউট পরাগ, রাজস্থান ১৫৯/৪(১৫.৫ ওভার)(টার্গেট ২০২)

11:06:58 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১৫৭/৩,(১৫ ওভার) টার্গেট ২০২

11:03:12 PM

আইপিএল: ৬৭ রানে আউট জয়সওয়াল, রাজস্থান ১৩৫/৩(১৩.৩ ওভার)(টার্গেট ২০২)

10:55:32 PM

আইপিএল: রাজস্থান ১০০/২,(১০ ওভার) টার্গেট ২০২

10:35:00 PM