বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মোবাইল নম্বর এবং নগদ দু’হাজার টাকা দিলেই নাম ‘রেজিস্ট্রেশন’ করিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। মাত্র ১৫মিনিট সময় দিয়ে একটি কাজ করলেই দেড় হাজার টাকা আয় করার টোপ দেওয়া হচ্ছিল মহিলাদের। তারপর ২০০-২৫০টাকা দামের একটি শাড়ি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। বাড়িতে বসে ফিতের মতো একটি ছিটের টুকরোতে পুঁতি ও জরি বসানোর কাজ দেওয়া হয়। যে কাজটি করতে ১৫-২০মিনিট লাগার কথা বলে মহিলাদের দাবি। কাজের পারিশ্রমিক বাবদ ৩৫দিন পর ওই দেড় হাজার টাকা মিলবে বলে জানানো হয়। যাঁরা কাজ নিয়েছেন তাঁরা জানান, একবার কাজ নিলে পাঁচ সপ্তাহের আগে সেই কাজ জমা দেওয়া যাবে না। পাঁচ সপ্তাহ পরই কোনও মহিলা চেন সিস্টেমে একাধিক মহিলাকে যোগদান করাতে পারেন। এভাবেই কিছুদিন ধরে প্রতিদিন ৬০-৭০জন করে মহিলা যোগদান করছিলেন।
পুলিসের অনুমান, প্রথম-প্রথম ওই কাজের জন্য টাকা দিয়ে সংস্থা তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করছিল। তারপরই বহু মহিলাকে ফাঁদে ফেলার ছক ছিল। ৩৫দিনের মধ্যে কেউ কাজ দিয়ে কাজের পারিশ্রমিক নিতে আসতে পারবেন না। ওই সময়ের মধ্যে বহু মহিলার টাকা সংগ্রহ করে রাতারাতি পাততাড়ি গুটিয়ে নেওয়ার ছক থাকতে পারে। এদিন বিক্ষোভ দেখাতে এসে কয়েকজন মহিলা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদেরও সন্দেহ হয়। কারণ আমরা কাজ করে ফেরত দেওয়ার সময় কী ধরনের কাজ জমা দিলাম, পরীক্ষা করে দেখা হতো না। একটি জায়গায় জমা করে রাখা হতো।
এদিন সকালে ‘বর্তমান’এ ওই সংস্থার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মহকুমাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে। অফিস খোলার আগে থেকেই মহিলারা গেটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। ওই অফিসে শুধুমাত্র মহিলা কর্মীরাই কাজ করেন। তাঁরা অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরতের দাবিতে কর্মীদের ঘিরে ধরেন এলাকার মহিলারা।
সংস্থার কর্মীরা বলেন, প্রতিদিন যা টাকা কালেকশন হয় তা কলকাতা থেকে এক ব্যক্তি এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিয়ে চলে যেতেন। তাঁর ফোন নম্বর ছাড়া আর কিছুই জানেন না তাঁরা। তাই সংস্থাটি কোথাকার, ‘বস’দের বাড়ি ও নাম পর্যন্ত তাঁরা পুলিসকে জানাতে পারেননি। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে বসদের নম্বরে যোগাযোগ করেও উত্তর মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। কথা বলেই টাকা ফেরতের বিষয়টি আলোচনা করা হবে।