গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ ফুট চওড়া এই সাঁকোর উপর দিয়ে নাথপুর, গোবিন্দপুর, খালবোয়ালিয়া সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। সাঁকো পেরিয়ে তাঁরা মাজদিয়া বাজারে যান। এই মাজদিয়া বাজারকে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। এখান থেকেই স্কুল, কলেজ বা কিছুটা দূরে বিডিও অফিস, থানা হাসপাতাল সহ একাধিক অফিস রয়েছে। তাই নানা কাজে নদীর ওপারের নাথপুর, গোবিন্দপুর, খালবোয়ালিয়া থেকে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন। এছাড়া, নদীর এপারের মানুষকেও সাঁকো পেরিয়ে ওপারে যেতে হয়। এই সাঁকো দিয়ে না গেলে দুর্গাপুর, খালবোয়ালিয়া দিয়ে মাজদিয়া বা কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে আসতে ১২-১৫ কিমি পথ ঘুরতে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট এলেই নেতারা গ্রামে এসে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেন। কিন্তু ভোট মিটতেই কারও দেখা মেলে না। বর্ষাকালে নদীতে জল বাড়লে নৌকায় চড়ে যাতায়াত করতে হয়। ওই সময় রাতের অন্ধকারে নদী পেরোনো রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়। অন্য সময়েও বাঁশের সাঁকো দিয়ে রাতবিরেতে রোগী, আসন্নপ্রসবাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। যাত্রীবোঝাই টোটো গেলে পুরো সাঁকো কাঁপতে থাকে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অতীতে এই সাঁকোতে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এলাকার মানুষ অনেকদিন ধরে পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সেই দাবি পূরণ হয়নি।
এবিষয়ে বিজেপি পরিচালিত তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রিঙ্কু বিশ্বাস বলেন, এখানে কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু তা করা যায়নি। এই পাকা সেতু না হওয়ায় খুব সমস্যা হয়। বর্ষাকালে প্রাণ হাতে করে নৌকায় নদী পেরোতে হয়। রাত ৮টা অবধি নৌকা থাকে। তারপর ঘুরপথে যেতে হয়। এই সেতু পাকা করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করব।
পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শ্যামল বিশ্বাস বলেন, সিপিএমের সময় থেকে এখানে পাকা সেতু করার দাবি রয়েছে। সমস্ত স্তরে জানানোও হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এনিয়ে আবার আলোচনা করব।