গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গোরু পাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতা করার জন্য বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ১৪বার তলব করেছিল সিবিআই। কিন্ত বারবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টিত বাড়ি থেকে সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২২ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ‘চন্দ্রালয়’ বাড়িতে আচমকা অভিযান চালান ইডির অফিসাররা। জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি খানাতল্লাশি চালিয়ে বাড়ির লকার থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন অফিসাররা। তাঁরা মন্ত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন। সেই ফোনের পাসওয়ার্ড খোলার জন্যই মূলত চন্দ্রনাথবাবুকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু তিনি না গিয়ে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে বোলপুরের এক আইনজীবীকে ইডির দপ্তরে পাঠান। এদিন তিনি সোনাঝুরিতে বসন্ত উৎসবের আগের দিনে হওয়া ঝামেলা নিয়ে দু’পক্ষের সঙ্গে সালিশি সভায় বসেন।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযানের বিষয়ে আগেই মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন। তা সত্ত্বেও এদিন তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। তাঁর এই হাজিরা এড়ানোর বিষয়টি নিয়ে শহরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির বোলপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বলেন, ‘মন্ত্রীমশাই বুঝতে পেরেছেন ইডি দপ্তরে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন। তাই ভয় পেয়ে হাজিরা এড়ালেন। তবে, পরিবারের সঙ্গে সময় যতটা পারেন কাটিয়ে নিন। কারণ তাঁর গ্রেপ্তারি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’ এবিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, উনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলেই প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। তবে বিজেপি নেতাদের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো কাদের নির্দেশে চলছে। নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।