রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শিলিগুড়িতে পদ্ম শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দল বহুদিনের। বেশ কয়েক মাস আগে দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি বদলের পর তা চরম আকার নেয়। দলের এবং বিভিন্ন মোর্চার একঝাঁক নেতা-নেত্রী দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই ইস্যু হস্তক্ষেপ করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, দু’দিন আগে শিলিগুড়িতে তিন বিধায়ক ও দলের জেলা সভাপতিকে একমঞ্চে বসিয়ে নির্বাচনী সভায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলার আহ্বান করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এতকিছুর পরও বেশকিছু বিজেপি নেতা-কর্মী এখনও ভোটের ময়দানে নামেননি। তাছাড়া দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ।
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সহ সভাপতি মনোরঞ্জন মণ্ডল অবশ্য বলেন, এখানে দলের কোনও কোন্দল নেই। দলের সমস্ত বিধায়ক সহ নেতা-নেত্রীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। জেলা কমিটির নির্দেশ মতো সকলেই ভোটযুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। রামনবমী শেষ হল। এবার ভোট প্রচারে আরও গতি আসবে বলেই আশা করছি।
বিজেপি নেতৃত্ব যাই বলুন না কেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য অন্যরকম। তাঁরা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দখলে থাকালেও পাহাড়বাসীর চাহিদা পূরণ করতে পারেনি বিজেপি। যার জেরে তাদের বিধায়ক নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ছেন। কাজেই অতীতের তুলনায় এবার এখানে তাদের পথ অনেকটাই অমসৃণ। ওদের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রভাব ভোটে পড়তে পারে।
এদিকে, বিজেপির বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থী ভোটের ময়দানে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ি শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নালা তৈরি না হওয়ায় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চোপড়াতে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভে পড়েন রাজু বিস্তা। এমনকী পাহাড়ের গোরুবাথানে তাঁকে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ দেওয়া হয়। মোদির গ্যারান্টি বা পদ্মের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের পর পাহাড়ে ‘বিজেপি গো ব্যাক’ পোস্টারও সাঁটা হয়। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা নিয়ে পদ্ম শিবিরের একাংশ ঘোর দুঃশ্চিন্তায়। ভোটযুদ্ধের ময়দানে এমন ঘটনা আরও ঘোটতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
বিজেপি প্রার্থী বলেন, পাঁচ বছরে পাহাড় ও সমতলের জন্য কী উন্নয়ন করা হয়েছে, তা সকলে জানেন। এজন্যই আমজনতা আমাদের সঙ্গে। এতে হার বুঝতে পেরে আমাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূল ও বিজিপিএম। এটা ওদের ষড়যন্ত্র। ওরা এভাবে চিৎকার করলেও আমাদের কিছু হবে না।
পাল্টা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, গত নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পাড়ায় এবার ভোটের ময়দানে প্রশ্নের মুখে পড়ছেন বিজেপি প্রার্থী। এখন তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন।