কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
সংবিধানের ৯৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘লোকসভায় একজন স্পিকার এবং একজন ডেপুটি স্পিকার বেছে নিতে হবে।’ যদিও সংবিধানের সেই অনুচ্ছেদ অগ্রাহ্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্পিকার থাকলেও কাউকেই ডেপুটি স্পিকার করা হয়নি। ৭২ বছরের সংসদীয় ব্যবস্থায় যা আগে কোনওদিন হয়নি। সাধারণত, স্পিকার পদে সরকার পক্ষের, আর ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধীদের কাউকে বসানোই প্রথা। তাই প্রথা মনে করিয়ে লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদটি বিরোধীদের দেওয়া হোক, এই দাবিতে কংগ্রেস লোকসভার সচিবালয়ে চিঠি লিখবে বলেই জানা গিয়েছে।
১৯৯৯ সালে এনডিএ সরকারের সময় ডেপুটি স্পিকার পদটি শরিক জয়ললিতা অথবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কাউকেই দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ি। কিন্তু দুই শরিকই জানিয়েছিল, প্রথা মেনে লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদটি বিরোধীদের প্রাপ্য। তাদেরই দেওয়া হোক। সেই মতো ডেপুটি স্পিকার হয়েছিলেন কংগ্রেসের পি এম সঈদ।
একইভাবে এবারও মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের শরিক টিডিপি এবং জেডিইউ চায় কাউকে ডেপুটি স্পিকার করা হলে তা বিরোধীদেরই দেওয়া উচিত। যদিও তার আগে স্পিকার পদ নিয়েই এনডিএর মধ্যে বোঝাপড়া কী হয়, সেটাই রাজনৈতিক মহলের কৌতুহল। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, স্পিকার হবেন বিজেপিরই কোনও এমপি। সেক্ষেত্রে ফের ওম বিড়লার বরাতে স্পিকার পদের শিকে ছিঁড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
অন্যদিকে, আগামী ২৪ জুন থেকে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে নব-নির্বাচিত এমপিদের শপথ নেওয়াবেন ‘প্রোটেম’ স্পিকার। সাধারণত সর্বাধিকবার লোকসভার ভোটে জেতা এমপিকেই প্রোটেম স্পিকার করা হয়। সেটাই রীতি। গতবার (২০১৯ সালে) সর্বাধিকবার জয়ী এমপি ছিলেন মানেকা গান্ধী। কিন্তু তিনি প্রোটেম স্পিকার হতে অস্বীকার করেন। তখন পরবর্তী সর্বাধিকবার জেতা বিজেপি এমপি বীরেন্দ্র কুমারকে ওই পদে বসানো হয়। এবার লোকসভায় সর্বাধিকবার ভোটে জেতা এমপি কংগ্রেসের কে সুরেশ। কেরলের মাভেলিক্কারার আটবারের এমপি। তারপরেই বিজেপির রাধামোহন সিং। বিহারের পূর্ব-চম্পারনের সাতবারের এমপি। তাই দেখার কাকে করা হয় প্রোটেম স্পিকার।