কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গ্রিসমার বাবা নরসিমামূর্তি পেশায় চাষি। নবম শ্রেণি পর্যন্ত সে পড়েছে দক্ষিণ কর্ণাটকের অ্যালভাজ ইংলিশ মিডিয়াম হাইস্কুলে। কিন্তু, এরপর স্কুলের ফি দিতে না পারায় দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় তার নাম তোলা হয়নি। পরিবারের অভিযোগ, ফি (নবম ও দশম শ্রেণির একসঙ্গে) জমা দেওয়ার জন্য বাড়তি সময় চাইলেও, তা মঞ্জুর হয়নি। যদিও নবম শ্রেণিতে সে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। এরপর নিরুপায় হয়েই তারা ডিডিপিআই (ডেপুটি ডিরেক্টর ফর পাবলিক ইনস্ট্রাকশন)-এর কাছে আবেদন করে। ফলে, বিষয়টি গড়ায় প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষামন্ত্রী এস সুরেশ কুমারের কাছে। এরপর সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, ফি দিতে না পারলেও সবাইকেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, গ্রিশমার বাড়িতে গিয়ে মন্ত্রী আশ্বাস দেন, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসলেও গ্রিশমাকে রেগুলার ক্যান্ডিডেট হিসেবেই গণ্য করা হবে। বাকিটাতো এখন ইতিহাস। ৫৩ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে গ্রিশমা ৫৯৯ (৯৫.৮৪ শতাংশ) পেয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে। গ্রিশমা অবশ্য জানিয়েছে, ‘আমার লক্ষ্য ছিল ৬১৫-র বেশি (৬২৫-এর মধ্যে) নম্বর পাওয়া।’ স্কুলের হেডমিস্ট্রেস বিজয়া টি মূর্তির অভিযোগ, দশম শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার পর গ্রিশমার পরিবারের তরফে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগই করা হয়নি। তাহলে হয়তো এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যেতো। যাই হোক, সব ভালোয় ভালোয় মিটে যাওয়ায় খুশি সকলেই।