কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘সিংঘুর ঘটনার কোনও প্রভাব কৃষক আন্দোলনে পড়বে না। কারণ এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। তদন্ত চলছে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।’ উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে লখবীর সিং নামে ওই ৩৫ বছর বয়সি দলিত শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ সিংঘু সীমানার একটি ব্যারিকেড থেকে ঝুলতে দেখা যায়। হাত-পা কাটা, গোটা শরীর যন্ত্রণায় নীল। ঘটনার একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে নিজেকে নিহাঙ্গ যোদ্ধা বলে দাবি করা এক ব্যক্তি জানিয়েছে, ‘শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করার জন্যই লখবীর সিংকে ওই শাস্তি পেতে হয়েছে।’ অভিযুক্ত সরবজিৎ সিং শুক্রবার রাতেই আত্মসমর্পণ করে।
শনিবার তাকে সাতদিনের পুলিস হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ‘আমার কোনও অনুশোচনা নেই’, পুলিসককে বিস্মিত করে জানিয়েছে সরবজিৎ। অভিযুক্ত নিহাঙ্গ বাবা নারাইন সিংও শনিবার অমৃতসর গ্রামীণ পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। নিহত শ্রমিকের স্ত্রী যশপ্রীত কাউর জানিয়েছেন, ‘আমার স্বামী অত্যন্ত ধর্মভীরু প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করতেই পারেন না। এর মধ্যে অন্য রহস্য আছে। আমি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি।’
শনিবার সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বেশ কয়েকদিন ধরেই নাকি রহস্যময় কিছু ফোন পাচ্ছিলেন লখবীর। কিন্তু তিনি তা গোপন করে গিয়েছিলেন পরিবারের কাছে।’ ইতিমধ্যেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর জানিয়েছেন, ‘একজন দোষীও নিস্তার পাবে না। উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড কাস্টসের চেয়ারম্যান বিজয় সাম্পলা বলেন, ‘কৃষক নেতারা এই ঘটনায় নিজেদের হাত ধুয়ে ফেলছেন। এটি ঠিক নয়। তাঁদেরও দায় নিতে হবে।’ বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে বিজেপি প্রশ্ন করেছে, ‘লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে যে কংগ্রেস এত হইচই করছে, সিংঘু নিয়ে তারা চুপ কেন?’ যদিও শনিবারও সংযুক্ত কিষান মোর্চা লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছে। তারা বলেছে, ‘এতকিছুর পরেও মন্ত্রী অজয় মিশ্রর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।’ কিষান মোর্চার অভিযোগ, কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর অপরাধে একাধিক নেতাকে আটক করেছে পুলিস।