কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স’ বা জিএইচআই স্কোর। এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পায় অপুষ্টিজনিত সমস্যা, যথাযথ খাদ্যের অভাবে শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, তাদের মৃত্যুহার। নির্ণায়ক হয়ে ওঠে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান, শিশুস্বাস্থ্য এবং সম্পদ বণ্টনও। সব বিষয়গুলি একত্র করে প্রতি বছর যৌথভাবে ক্ষুধা সূচক প্রস্তুত করে আয়ারল্যান্ডের ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মানির ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ’ নামে দু’টি সংস্থা। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, করোনা পর্বে নানা বিধি নিষেধ জারি হওয়ায় ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অপুষ্টির জেরে উচ্চতা ও ওজনের মধ্যে ভারসাম্যহীন পাঁচ বছরের শিশুদের সংখ্যা ভারতেই সর্বোচ্চ। একে চাইল্ড ওয়েস্টিং রেট বলে। সার্বিকভাবে ভারতের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
ক্ষুধার সূচকে ভারতের ক্রমঅবনতি নিয়ে মোদি সরকারকে চেপে ধরতে তত্পর হয়েছে বিরোধীরা। পাল্টা তালিকা তৈরির পদ্ধতি নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন তোলা হয়েছে মোদি সরকারের তরফে। রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, সূচক তৈরির প্রক্রিয়া একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত এবং তথ্যনির্ভর নয়। এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করেছে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। তাদের দাবি, ঠিকমতো সমীক্ষা না করেই প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট। গোটাটাই অনুমান নির্ভর।
মন্ত্রকের বক্তব্য, রিপোর্টে রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-র তথ্যের ভিত্তিতে অপুষ্টিতে থাকা মানুষের অনুপাতের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এর পদ্ধতি সঠিক নয়। তাছাড়া, বাস্তব পরিস্থিতি ও প্রকৃত তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়নি।