কর্মে বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় লাভ হবে সর্বাধিক। অর্থাগম যোগটি শুভ। কর্মক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে ... বিশদ
বাংলায় নিরঙ্কুশ জয়ের পর তৃণমূল পা রাখে ত্রিপুরায়। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের উপর লাগাতার হামলা চলছে বলে অভিযোগ। আগস্ট মাসের পর থেকে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এবার দুর্গা পুজোর পর্বেও তা বাদ গেল না। তৃণমূলের অভিযোগ, দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন ধর্মনগরে দলীয় কার্যালয় হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পতাকা, ফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে আসবাবপত্র। কার্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দশমীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নির্বাচনী কেন্দ্র বনমালীপুরে বাড়ির কাছে বসে দুর্গাপুজোর বিসর্জন যাত্রা দেখছিলেন তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু সাহা। তৃণমূলের যুব রাজ্য কমিটির সদস্য তিনি। তৃণমূলের অভিযোগ,, ১০-১২ জন মোটরবাইকে এসে হামলা চালায় শান্তনুর উপর। দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল। শান্তনুকে বেধড়ক মারধর করে জখম করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শান্তনুকে আগরতলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য কনভেনার সুবল ভৌমিক বলেছেন, বিজেপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাই তৃণমূলের উপর হামলা চলছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, বনমালীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কেউ তৃণমূল করতে পারবে না। কিন্তু আমরা বিজেপিকে বিন্দুমাত্র ভয় পাচ্ছি না। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ত্রিপুরা বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের অস্তিত্ব নেই। তাই নানারকম ঘটনাকে সামনে এনে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে। এদিকে গোয়াতে প্রতিদিনই তৃণমূলে যোগদান পর্ব চলছে। সংগঠনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিজয়া দশমীর দিন গোয়ার পানাজিতে দলীয় কার্যালয় খুলল তৃণমূল। সেখানে ছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা লুইজিনহো ফালেইরো, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ একাধিক নেতৃত্ব। বিজেপি, কংগ্রেস এবং আপ ছেড়ে একাধিক শীর্ষ নেতা-নেত্রী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সামনে গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেখানে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে চাইছে তৃণমূল। দলের প্রচারে গোয়াতে যাবেন মমতা, অভিষেক। গোয়ায় প্রকৃত উন্নয়ন করবে তৃণমূল, দাবি নেতৃত্বের।