রায়পুর ও পাটনা: ছত্তিশগড়ের যশপুর জেলায় দুর্গা প্রতিমার ভাসানে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। শুক্রবার বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলাকালীন বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিল বহু মানুষকে। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ১৬ জন। প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বাজারপাড়া এলাকার মানুষ। ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ মানুষ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। চড়াও হন থানায়। তাঁদের অভিযোগ, ঘাতক গাড়িটিতে প্রচুর গাঁজা ছিল। যশপুরের পুলিস সুপার জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম বাবলু বিশ্বকর্মা (২১) ও শিশুপাল সাহু (২৬)। এই দু’জনই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। ছত্তিশগড় দিয়ে মধ্যপ্রদেশ ফেরার সময় বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি ছুটিয়ে বহু মানুষকে পিষে দেয় ওই দু’জন। ছত্তিশগড়ের এই মর্মান্তিক ঘটনার পাশাপাশি দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল পাটনায়। শনিবার বিসর্জনের সময় দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হল একজনের। জখম বহু। ভাসান দিতে যাওয়ার সময় চক থানার অন্তর্গত জনতা হোটেলের কাছে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পুলিস জানিয়েছে, বচসা থেকে সংঘর্ষ বাধে। চলে গুলিও। বিকি চৌধুরী নামে ২৩ বছরের এক যুবকের বুকে গুলি লাগে। নালন্দা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ছত্তিশগড়ের যশপুরের ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। টুইটারে তাঁর দাবি, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অভিযুক্তরা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে মাদক পাচারচক্রের যোগও সামনে আসছে। জবাবে ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, অভিযুক্তদের বাড়ি মধ্যপ্রদেশ। গাঁজা নিয়ে তারা ছত্তিশগড়ে এসেছিল। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩০২ ও ৩০৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। মাদক পাচারের কাজে মধ্যপ্রদেশে কারা এদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, সেটাও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।