ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ওই ছাত্রী বেকো উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ত। শান্ত প্রকৃতির মেয়েটি পড়াশোনাতেও ভালোই ছিল। কিন্তু মাধ্যমিকে খারাপ ফল হয়। দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে সে। রেজাল্ট বের হওয়ার পর থেকে অত্যন্ত মনমরা ছিল।
শুক্রবার ওই নাবালিকা পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে খাবার খায়। এরপর সে ঘুমোতে যায়। তার বাবা পাশের গ্রামে কীর্তন শুনতে যান। কীর্তন শুনে বাড়ি ফিরে তিনি অনেকক্ষণ মেয়েকে ডাকলেও সাড়াশব্দ পাননি। দরজা ভেঙে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তাড়াতাড়ি রঘুনাথপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে আদ্রা ও রঘুনাথপুর থানার পুলিস শুক্রবার হাসপাতালে যায়। রঘুনাথপুর থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
গৌতমবাবু বলেন, রেজাল্ট ভালো না হওয়ার জন্য আফশোস করছিল। আমরা তাকে বুঝিয়েছিলাম, জীবনে আরও অনেক পরীক্ষা রয়েছে। আগামী দিনে সেই সমস্ত পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলেই হবে। তারপরও মেয়ে যে এমন করবে-তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।
বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সাহেব মণ্ডল বলেন, ও খুব ভালো মেয়ে ছিল। এই ঘটনায় আমরা সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছি। বেকো উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থসারথি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খবরটি শুনে হতবাক হয়েছি। ও যে এমনটা করবে-তা ভাবতেই পারছি না।